রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন মিটলেই দলত্যাগী তৃণমূল সাংসদদের আসনে উপ-নির্বাচন আসন্ন। বিধানসভা ভোটের মধ্যেই তার কৌশল সাজানো শুরু করে দিল বিজেপি। কী হবে বর্ধমান পূর্ব ও কাঁথি আসনে এসব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই উঠে এল শিশির অধিকারীকে রাজ্যপাল করার প্রস্তাব। বিজেপি সূত্রে এমন খবর মিললেও শিশিরবাবু জানান, তাঁর কাছে কোনও খবর নেই।
সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। সাংসদ পদে ইস্তফা না দিলে দলত্যাগবিরোধী আইনে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ফলে কাঁথি আসনে উপনির্বাচন আসন্ন। একই পরিস্থিতি বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রেও। সেখানে গত ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। কিন্তু কাঁথিতে কী হবে বিজেপির রণনীতি? তা নিয়ে ভাবতে বসেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এলাকায় অধিকারী পরিবারের আধিপত্যকে কাজে লাগিয়ে কী করে পশ্চিমবঙ্গে একটা আসন বাড়িয়ে নেওয়া যায় তার প্রাথমিক রণকৌশল ঠিক করে ফেলেছে তারা।
সূত্রের খবর, শিশিরবাবুকে আর প্রার্থী করতে চায় না বিজেপি। কারণ ৮২ বছর বয়সী শিশিরবাবু বেশ শক্ত-সামর্থ থাকলেও লোকসভা ভোটের ধকল নেওয়া তাঁর পক্ষে মুশকিল। তাই তাঁকে রাজ্যপাল করার কথা ভাবছে দল। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল করা হতে পারে তাঁকে। সেজন্য কোথায় কোথায় রাজ্যপালের পদ খালি রয়েছে তা দেখা হচ্ছে।
এব্যাপারে যদিও শিশিরবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁকে রাজ্যপাল করা হবে এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। তবে এমন প্রস্তাব এলে রাজি হবেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শিশিরবাবুর জায়গায় প্রার্থী করা হবে অধিকারী বাড়ির ছোট ছেলে সৌমেন্দুকে। কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক করে রাজ্য সরকার। কিন্তু শুভেন্দু দল ছাড়ার পর তাঁকেও অপসারণ করা হয়। এর পর বিজেপিতে যোগ দেন সৌমেন্দু। তাঁকে প্রার্থী করলে একদিকে যেমন অধিকারীদের আধিপত্য কায়েম থাকবে পূর্ব মেদিনীপুরে তেমনই বিজেপির একটি আসন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে। তবে যাবতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকশের পর।