ভোট–ষষ্ঠীতে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বাগদা। কারণ এখানে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি। তাই পালটা আক্রমণ করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদেরও। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বাগদার বিজেপি প্রার্থী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হতেই বাগদা বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে আসে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা। বিকেলে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। তখন বাগদার রণঘাটে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকী লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। আর তাতে জখম হন কমপক্ষে ২ জন বলে অভিযোগ। পালটা আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে যে দু’জনের গুলি লেগেছে তাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
ঘটনাস্থলে যান বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর কথায়, ‘বাগদায় তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলেই রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছে ওরা। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। ১০ রাউন্ড গুলি চলেছে। জখম বেশ কয়েকজন কর্মীর সন্ধান মিলছে না। বিজেপির ক্যাম্প অফিসের সামনে বিনা প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।