বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ থেকেই নানা জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এক গ্রামে ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল। যেখানে অন্যান্য জায়গায় ইভিএম খারাপ থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটগ্রহণের ছবি দেখা যাচ্ছে সেখানে ছাতনায় ভোট বয়কটের ছবি ধরা পড়ল। এখানের বাসিন্দারা এবার ভোট দেবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তাতেই তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।
প্রধানমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকালেই টুইট করে বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে বলেছেন। সেখানে এই অধিকার থেকে নিজেদের বঞ্চিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছাতনার গ্রামবাসীরা। এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন এই বয়কটের সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, জামখোল নদীর উপর রয়েছে একটি ভগ্নপ্রায় সেতু। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বর্ষাকালে জল বাড়তে শুরু করলে অত্যন্ত কষ্টে যাতায়াত করতে হয়। যাতায়াতের অবস্থা থাকে না। রীতিমতো কোমরে দড়ি বেঁধে যাতায়াত করতে হয় মহিলাদের। এই অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই গ্রামের প্রবীণরা বর্ষায় যাতায়াত করতে পারেন না। তাই এই সেতুর সমস্যা যতক্ষণ না মিটছে ততক্ষণ ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা ভোট বয়কট করেছেন।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের সূত্রে খবর, সেতুর সমস্যা রয়েই গিয়েছে। প্রায় ৭০ বছরের কাছাকাছি। কংগ্রেসের আমলে এই সেতু নির্মাণ করেছিলেন শিবদাস চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে সেতুর কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে অভিযোগ। মেরামতির দরকার হলে কোনরকমে সারাই করা হয় বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায় সেতুটি এখন প্রায় ভগ্নপ্রায়। তাই ভোট বয়কট করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, সেতু নয় তো ভোট নয়। প্ল্যাকার্ডে লিখে টাঙিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে এই ছবিই ধরা পড়ল। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। কোনও প্রতিশ্রুতি তাঁরা শুনবেন না বলেও জানিয়েছেন। কারণ বারবার সরকারকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই এবার ঠিক করা হযেছে ভোট বয়কট করবেন তাঁরা। এখানের বাসিন্দারা বাড়িতে রান্না করে খাচ্ছেন তবু বেরিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছেন না। রীতিমতো ছুটির আমেজে রয়েছেন তাঁরা।