তৃতীয় দফার নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা দেখল রাজ্যবাসী। কোথাও বেপরোয়া হয়ে উঠল বিজেপি, তো কোথাও আক্রমণাত্মক তৃণমূল কংগ্রেস। তিন জেলার ৩১টি আসনে চলছে নির্বাচন প্রক্রিয়া। হাওড়া জেলার ৭টি আসন, হুগলি জেলার ৮টি আসন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬টি আসনে হল ভোটগ্রহণ। একাধিক জায়গায় শাসক–বিরোধী দলের প্রার্থীরা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের ভোটদানে বাধা, সন্ত্রাস, বোমাবাজির অভিযোগ উঠছে একাধিক জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে বুথ পরিদর্শনে গিয়ে ছাপ্পা ভোট হওয়ার অভিযোগ তুলতেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির তারকা প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী।
অভিযোগ উঠল হাওড়ার শ্যামপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী টলিউডের তারকা প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। অভিযোগ, শ্যামপুরে শাশুড়ির হয়ে ভোট দিয়ে দিয়েছেন বৌমা। এই ঘটনা জানার পরই ওই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তখনই আচমকা একদল দুষ্কৃতী লাঠি, বাঁশ নিয়ে তেড়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় বুথ থেকে কোনওরকমে বের হয়ে আসেন তনুশ্রী।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘কীভাবে একজনের ভোট অপরজন দিল তা বুঝতে পারছি না।’ বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ইচ্ছে করে ওই হামলা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ জড়িত নয়। বিজেপির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এই হামলার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে গেরুয়া শিবির বলে খবর।
যদিও প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, ‘শাশুড়ি চোখে দেখতে পান না বলে বৌমাকে ভোটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কেউ অপারগ হলে, তার জায়গায় যদি অন্য কেউ ভোট দেন, তাহলে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী।