নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একবার সংবাদসংস্থা এএনআই জানাল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০২ ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী হয়েছেন। আবার জানানো হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তবে আধ লাখ ভোটে নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন মাত্র ১৬২২ ভোটে। কিন্তু হারটা তো হারই। যদিও একবার জয় আর একবার পরাজয়ের ফলাফল আসায় চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
জানা গিয়েছে, সার্ভারে সমস্যার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি হেরে গিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমি সেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। নন্দীগ্রামের মানুষের রায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। আমি কিছু মনে করছি না। আমরা ২২১টি আসন জিতেছি। আর বিজেপি নির্বাচন হেরেছে।’
জানা গিয়েছে, সার্ভারের সমস্যার জন্য ৪০ মিনিট ভোট গণনা বন্ধ ছিল। তাই মমতার জয়ের খবর সামনে আসার পর কোনও তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি বলছি এখানে কোনও কারসাজি আছে। নন্দীগ্রামে কোনও কারসাজি করা হয়েছে। আমি এটা নিয়ে আদালতে যাবো।’ বিজেপিরও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, জয়ী হয়েছে শুভেন্দুই। যদিও তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন, নন্দীগ্রামে গণনা প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তাই দয়া কোনও অনুমান করবেন না। এই খবর চাউর হওয়ার পর শুভেন্দুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি এখন সরগরম। একবার জয়ী আর একবার পরাজয়ের খবর আসতেই তোলপাড় হয়ে যায়। কারণ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘আমি রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। তবে আমি আদালতে যাবো। কারণ আমার কাছে তথ্য আছে ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। আমি তা প্রকাশ করবই।’