তীব্র বিরোধীতা থেকে এবার সমর্থনের হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ বাংলা এখন মমতার দখলে। বাংলায় জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘মমতা দিদিকে ধন্যবাদ। করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সবরকম সাহায্য করবে কেন্দ্র।’
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ফেরি করে আসছিলেন মোদী–শাহরা। একুশের নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম নরেন্দ্র মোদী বাগযুদ্ধে তপ্ত হয়ে উঠেছিল বঙ্গ–রাজনীতি। মোদীর দিদি ও দিদি ডাক ঘিরেও সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। আবার মোদীকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেছিলেন মমতা। অবশেষে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের রায়ে শেষ হাসি হেসেছেন মমতাই। তারপরেই ভোটগণনার শেষলগ্নে টুইটারে মমতাকে মোদীর জয়ের অভিনন্দন অন্য মাত্রা এনে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে লেখেন, ‘আমি বাংলার মানুষের রায়কে সম্মান জানাইবিজেপির প্রতি সমর্থনের জন্য বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজেপি শক্তিশালী বিরোধী দল রূপে বাংলার মানুষের অধিকার এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাবে। বিজেপির সকল কার্যকর্তাদের পরিশ্রমের জন্য তাদের অভিনন্দন।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বাংলার মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়ে যোগ্য বিরোধীর ভূমিকা পালন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়েছিলাম। কোথাও নিশ্চয়ই ত্রুটি ছিল। মানুষ আমাদের বিরোধী দলের আসনে বসিয়েছেন। তাই আমরা সরকারকে সঠিক পথে চালিত করার চেষ্টা করব। জয়ীদের জন্য অভিনন্দন রইল।’
মমতার জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত, মেহবুবা মুফতিরা। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, মোদীজি ও অমিত শাহজি অপরাজেয় নন। তাঁদেরকেও হারানো যেতে পারে।’ আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘বাংলার ভাই–বোনেদের ধন্যবাদ। বিজেপির তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি হয়েছে। রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার।’