দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে ফের রাজ্যের ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার আর নতুন কোনও ক্লাব নয়, পুরনো ৮ হাজার ২৮৯টি ক্লাবকে ফের আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের ‘খেলাশ্রী’ অনুষ্ঠানে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি ক্লাব পারে ১ লক্ষ টাকা করে। ঠিক ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্লাবকে অনুদান দেওয়ার বিরোধিতা করে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে, ভোটের রাজনীতির জন্য পাড়ার ক্লাবগুলিকে হাতে রাখতে টাকা বিলি করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও বিরোধীদের কটাক্ষের আগেই এই আর্থিক অনুদান ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মমতা বলেন, ‘ক্লাবগুলোকে সাহায্য করলেই অনেক বাবুদের আবার রাগ হয়। কিন্তু এই ক্লাবগুলোই মানুষের পাশে থাকে। নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে।’ তিনি আরও জানান, ‘৮২৮৯টি ক্লাবকে এবার মোট ৮২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।’ এ ব্যাপারে কটাক্ষ করে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘উনি পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ দেওয়ার মতো ভাব দেখাচ্ছেন। কিন্তু আসলে সরকারের টাকার শ্রাদ্ধ করছেন।’
এদিকে, ক্লাবগুলিকে টাকা নিয়ে ভোট বিজেপি–কে দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর ক্লাবকে অনুদান দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের রাগের কিছু নেই। আমরা শুধু বলছি, যাঁকে যা দিচ্ছেন নিয়ে নিন। কিন্তু ভোটটা আমাদের দিন। লোকে তা করেওছে।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘টাকা দিয়ে ভোট পাওয়া যায় না।’ দিলীপ ঘোষ এদিন আরও বলেন, ‘বিজেপি সরকার এলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের হাতে কাজ আসবে। অর্থ আসবে। মানুষ স্বাবলম্বী হবে। আত্ননির্ভর ভারত তৈরি হবে।’
পাশাপাশি প্রাক্তন খেলোয়াড়দের জন্য ১০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়ার কথা এদিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সোমবার ‘খেলাশ্রী’ অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে ১০০ জনকে বাছবে সরকার। তাঁরা যখনই বাইরে কোনও ইভেন্টে যাবেন, তাঁদের সমস্ত খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।