এবার তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
একইসঙ্গে কর্মীদের তাড়া করে লাঠিপেটা করারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে ভোটসপ্তমীতে অশান্ত হয়ে উঠল মালদা। সোমবার দুপুরে ভোট চলাকালীন ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকায়।
কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বুলবুলচন্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, বিভিন্ন বুথের থেকে সরকারি নিয়ম মেনেই নির্দিষ্ট দূরত্বে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন অন্যায়ভাবে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে কর্তব্যরত জাওয়ানেরা। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বুলবুলচন্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৩ থেকে ২১৭ নম্বর বুথে। এই ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী—সমর্থকেরা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের জেলার কো—অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা জানিয়েছেন, হবিবপুরে আমাদের দলের প্রার্থী হয়েছেন প্রদীপ বাস্কে। এদিন বুলবুলচন্ডী এলাকার তৃণমূলের একাধিক ক্যাম্প অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ জওয়ানেরা।
তাঁর দাবি, নির্বাচনী বিধি মেনেই তৃণমূলের ক্যাম্প, ভোট কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে করা হয়েছিল। তার সত্ত্বেও এদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০টি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কর্মী—সমর্থকদের তাড়া করে লাঠিপেটাও করা হয়েছে। তাই আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার অভিযোগ, যেহেতু বিভিন্ন এলাকার বুথগুলিতে বিজেপির কোনও নির্বাচনী এজেন্ট নেই। তাই ওদের হয়ে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ জাওয়ানেরা কাজ করার মরিয়া চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। জেলাশাসক তথা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে হবিবপুরের বিজেপি প্রার্থী জুয়েল মুর্মু। তিনি বলেন, ‘কি নিয়ে গোলমাল সেটা বলতে পারব না। তবে বিজেপির হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন কাজ করতে যাবে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।