সাধারণত বুথের মধ্যে থাকেন প্রার্থীদের এজেন্ট। তাঁদের মূলত কাজ হল, প্রার্থীর হয়ে ভোটের কাজের পরিচালনা করা। কারা ভোট দিচ্ছেন, ভোট তালিকায় ভোটারদের নাম আছে কি না,
এসবই দেখতে হয়ে নির্বাচনী এজেন্টদের। কিন্তু সেই এজেন্ট যদি পঞ্চায়েত প্রধান হন, তাহলে কি তাঁরা এজেন্ট হতে পারবেন? এই প্রশ্নই এদিন উঠে গেল মালদায়। কারণ, এদিন মালদা জেলার যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি বিধানসভা কেন্দ্রেই এজেন্ট হিসাবে সটানে হাজির হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান! শুধু তাই নয়, নির্বাচনী এজেন্টদের মতো সমস্ত কাজও করেন তিনি। তা নিয়েই এবার বিতর্কের দানা বেঁধেছে। ঘটনাটি মালদার মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথের। এদিন ওই বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে নিয়েই এই বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ১৮৪ নম্বর বুথে এদিন এজেন্টের ভূমিকায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে রতুয়া-২ ব্লকের শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেরিনা বিবিকে। কুমারগঞ্জ হাইস্কুলের ওই বুথে বসে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন পঞ্চায়েত প্রধান, এমন অভিযোগই উঠেছে সেরিনা বিবির বিরুদ্ধে। সেরিনার স্বামী মোহাব্বত আলি এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান হয়েও কীভাবে সেরিনা বুথ এজেন্ট হন, তা নিয়েই এদিন প্রশ্ন তোলেন সংযুক্ত মোর্চা। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বুথ এজেন্ট হতে পারবেন না, এমন নিয়ম জানা নেই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ওই বুথের প্রিজাইডিং অফিসার। উল্টে তিনি বলেন, ‘ওই এজেন্ট যে পঞ্চায়েত প্রধান তা আমি জানতাম না। কমিশনের দেওয়া পাস নিয়ে এসেছেন। তাই ওঁকে বসতে দিয়েছি। উনি কে তা কীভাবে জানব। এখন যখন জেনেছি, তখন সেক্টর অফিসের সঙ্গে কথা বলব।’ যদিও ওই ঘটনার পরেও সেরিনা বিবিকে বুথের ভিতরে বসে এজেন্টের কাজ করতে দেখা গিয়েছে।
এই বিষয়ে সেরিনা বিবিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রার্থী আমাকে বলেছে এতে কোনও সমস্যা হবে না। কেউ ছিল না বলে এজেন্ট হিসেবে বসেছি।’ এদিকে অভিযোগকারীর দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান বুথের ভিতরে বসে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাছেন। আর এখানে পুরো সিস্টেমটাই শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। সব থেকে বড় কথা এই ঘটনা সামনে আসার পরেও সেরিনা বিবিকে সরানোর কোনও উদ্যোগই নেয়নি কমিশন।