ভোটের প্রচারে অতীতের স্ট্রাগল মনে করে চোখে জল অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর। এক সময়ে তৃণমূলের কাছের লোক হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক হতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন। আর তাই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। শ্রাবন্তী মনে করেন, যথাযোগ্য সম্মান না পেলে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন, তাঁকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হত না। এর-ওর ভায়া হয়ে তাঁকে নিজার বার্তা পৌঁছে দিতে হত তৃণমূলের সুপ্রিমোর কাছে। এমনকী, একবার এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য দেখা করতে চেয়েও তাঁকে ফিরে আসতা হয়েছিল। যা ‘অপমানজনক’ বলেই মনে করেন শ্রাবন্তী।
এবারের বিধানসভা ভোট তারকাদের সাধারণ মানুষদের অনেক কাছের করে দিয়েছে। পাড়ায় যাঁরা সেরকম মিশতেন না, তাঁরাই ভোট চেয়ে, সাধারণ মানুষের সমস্যা জানতে, ঘরে ঘুরছেন। বাদ যাননি শ্রাবন্তীও। তিনি বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের তারকা সৈনিক। তাই তো তৃণমূলের ভোটের স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে দাবি করছেন বেহালায় তাঁর কেন্দ্র থেকে তিনিই জিতবেন। কেননা, তিনি সেখানকার ভূমিকন্যা। এমনকী, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতাও মন দিয়েই করতে চান বলেই জানিয়েছেন। বলেন, ‘আমি জিতেও যদি এখানকার মানুষের জন্য কাজ না করি, তাহলে তো হেরেই যাব। মানুষ একটা সুযোগ দিয়ে দেখুক, কাজ করি কি করি না।’
তবে, অতীতের স্ট্রাগল বলতে ঠিক কী ইঙ্গিত করেছেন নায়িকা, অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তা নিয়ে। একাধিক বিয়ে-ডিভোর্সের মতো ব্যক্তিগত জীবনের চাপানউতর নাকি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ না হতে পারার খেদ— কোনটা তাঁর চোখে জল এনে দিচ্ছে এখনও অধরাই!