ভোট মিটতেই মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু করে দিল তৃণমূল নের্তৃত্ব। তবে এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলেই পাল্টা দাবি করেছে পদ্ম শিবির।
দু’দলের এই দাবি পাল্টা দাবির মধ্যেই এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সরানোর তোড়জোড় শুরু করে দিল তৃণমূল।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে অন্যান্য জেলার সঙ্গে মালদায়ও ঘাসফুল ফুটেছে।
এই বিপুল ব্যাবধানে সাফল্যের পরই মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার উদ্যোগ নিচ্ছে তৃণমূল শিবির।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মালদা জেলার কো—অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘ মালদা জেলা পরিষদে তৃণমূলের ২৬ জন সদস্য রয়েছেন, সেকারণে দ্রুত সভিধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। আর যাঁরা দলত্যাগ করেছিলেন তাঁদের পরিষদের সদস্যপদ বাতিলের আবেদনও করা হবে।’
এর পাল্টা মালদা জেলা পরিষদের বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘ জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই রয়েছে। এখনও আমাদের সঙ্গে ২১জন জেলা পরিষদের সদস্য রয়েছেন। ওরা অনাস্থা ডাকলে, তখন দেখা যাবে।’
অপর দিকে, পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘ওদের কাজ ওরা করবে, আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করব, সময় এলে সব দেখা যাবে।’
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। গৌরবাবুর সঙ্গে পরিষদের আরও ১৩ সদস্য তাঁদের দলে যোগ দিয়েছে বলেও দাবি করে বিজেপি। সেই সময় পদ্ম শিবির দাবি করেছিল, মালদা জেলা পরিষদও তারা দখল করেছে। কিন্তু ভোটের মধ্যেই ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন কয়েকজন সদস্য। এমনকী, পরিষদের বিজেপির কয়েকজন সদস্যও ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন।
তৃণমূলে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিজেপির সদস্য সাগরিকা সরকার বলেন, ‘ মালদা জেলা পরিষদ তৃণমূলের ছিল, থাকবেও। এখানে বিজেপির কিছু নেই। উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে মালদার বুক আছড়ে পড়ে সবুজ সুনামি, তাতে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় কংগ্রেস। তার পরই কংগ্রেস শূন্য পরিষদে বিজেপিকে সরিয়ে ঘর গোছাতে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল নের্তৃত্ব।