বুথের পাশে কে আগে দলের ক্যাম্প অফিস তৈরি করবে? তা নিয়ে এবার তৃণমূল—বিজেপির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে গেল ব্যারাকপুরে। দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা এলাকা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ উঠেছে, লাঠির আঘাতে পা ভেঙে গিয়েছে এক বিজেপি কর্মীর।
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ দফার ভোট চলছে। এর মধ্যেই দিনভর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। তবে অশান্তির মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে ব্যারাকপুর। বারবার সংঘর্ষ, হামলা, বচসায় জেরবার হয়ে উঠছে ব্যারাকপুরের বাসিন্দার।
এদিন ঘটনাটি ঘটেছে লিচুবাগানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ক্যাম্প অফিস করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি। মূলত বুথের বাইরে কে আগে ক্যাম্প অফিস করবে, তাই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডোগোলের সূত্রপাত। যা প্রথমে বচসা তারপর হাতাহাতির শেষে সংঘর্ষে পরিণত হয়।
দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য শুরু হয় লাঠিচার্জ। আর সেই লাঠিচার্জের সময় এক বিজেপি কর্মীর পা ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ব্যারাকপুরে। সকালেই বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাসের এলাকায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল।
এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলে পদ্ম শিবির। এদিন কাঁচরাপাড়াতেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল নেতার মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা কল্যাণীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বীজপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির মা, স্ত্রী ও ভাইকে বেধড়ক মারধর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।