মমতা বন্দোপাধ্যায়কে জেলে পোরার হুমকি দিয়ে আবারও বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শীতলকুচি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করার দায়ে নির্বাচন কমিশনের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ২৪ ঘন্টা তাঁর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠতেই আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ। ক্ষমতায় এলে, মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পোরার হুমকি দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘একলা যেতে হবে না—ভাইরাও যাবে। জেলে গিয়ে মিটিং করবেন।’ শুধু তাই নয়, তৃণমূলের নেতাদেরও জেলে পোরার হুমকি দেন তিনি।
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে দলীয় প্রার্থী তনুজা চক্রবর্তীর সমর্থনে আয়োজিত এক সভায় যোগ দিতে যান দিলীপবাবু। সেখান থেকেই তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘দিদিমণি প্রায়ই লালুর মতো বলেন, ‘আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিন, আমি জিতে আসব। তার পরেই দিলীপ বলেন, ‘দিদিকে বলি, আপনাকে একলা যেতে হবে না। আপনার ভাইরাও যাবে। পার্টির মিটিং জেলে গিয়ে করবেন।’ এদিনের সভায় শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নন, তৃণমূলের বাকি নেতাদেরও জেলে পোরার হুমকি দেন তিনি।
এছাড়াও আগামী ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন দিলীপ। তারপর বলেন, ‘আগামী ২ মে-র পর দোকান খোলার লোক পাবেন না। বিধানসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পর তৃণমূলে দাঁড়ানোর কোনও প্রার্থী পাওয়া যাবে না। টাকা দিয়ে প্রার্থী দাঁড় করাতে হবে।’
এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে বিজেপি সরকার যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটানোর রাস্তায় হাঁটবে, রাখঢাক না করে সেটাও জানিয়ে দেন দিলীপ। হুমকির সুরে তিনি বলেন, ‘যে যে ধরনের নেতা, তাকে সেই রকম ভাবেই জেলে রাখা হবে। যে পঞ্চায়েত সমিতির লোক, তাকে বারাসত জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। যারা এমএলএ তারা দমদম সেন্ট্রাল জেল। এমপি-এমএলএ-দের জন্য ভুবনেশ্বরে জেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এছাড়াও রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তৃণমূল নেতাদের গাড়িও নিলাম করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘দিদিমণি কোথাও এলে কালো গাড়ির লাইন লেগে যায়। আমরা ক্ষমতায় এলে, আগে চুরি করা টাকায় কেনা ওইসব গাড়িগুলো নিলাম করব। একশো দিনের টাকা অর্ধেক দিয়েছে গরিব মানুষকে। একটা পুকুর ২ বার কেটেছে কিন্তু জল নেই। এসব নিয়ে তদন্ত হবে।’