এই নিয়ে তৃতীয়বার জনতার রায়ে ক্ষমতায় ফিরলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিজেপিকে কোণঠাসা করে আগের চেয়েও বেশি আসনে নীলবাড়ির মসনদে বসছেন তিনি। তারপরই দলবদলুদের কয়েকজন মমতার বন্দনা এবং তৃণমূলের প্রশস্তিতে মেতেছেন। স্বভাবতই জল্পনা ছড়িয়েছে, পদ্ম ছেড়ে কি আবারও ঘাসফুল আঁকড়ে ধরবেন তাঁরা?
তারইমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাঁরা দলে ফিরতে চাইবেন, তাঁদের স্বাগত। তাঁর এই বার্তার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সত্যিই কি এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে দলনেত্রীর মন্তব্যের ভিন্ন ব্যাখাই শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, দলনেত্রী ডেকেছেন ঠিকই। তবে সবার জন্য আগের মতো দলের দরজা আর খোলা থাকবে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আতস কাচের নীচ থেকে যেতে হবে তাঁদের। কীভাবে?
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নীচুতলার যে সমস্ত নেতাকর্মীরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁরা যদি ফিরতে চান, সেক্ষেত্রেই তাঁদের ফেরানো হতে পারে। তবে তার জন্যও শর্ত রয়েছে। যারা ফিরে আসবেন, তাঁদের দলীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। এমনকী, তাঁদের ফেরানোর আগে স্থানীয় নেতৃত্বের মতামত নেওয়া হবে। যদি কেউ নিজের পুরনো এলাকায় ফিরতে চান, সেক্ষেত্রে সেখানকার সংশ্লিষ্ট ব্লক ও জেলা স্তরের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে জানতে চাওয়া হবে, দল ছাড়ার পর দলের বিরুদ্ধে কে কী করেছেন, বলেছেন সে সব বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে। আবার দলের কোনও প্রাক্তন নেতা, জনপ্রতিনিধি কিংবা মন্ত্রী ফিরতে চাইলে, তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে, তবে সেই কাজ করবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই নাম লেখাতে পারেন তৃণমূলে। আর এই ভাঙনের আশঙ্কাই এখন রাতের ঘুম উড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের।