দিনের শেষে স্পষ্ট বাংলার জনতার রায়। বাংলা নিজের মেয়েকেই বেছে নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। নন্দ্রীগ্রামের ফল নিয়ে ধোঁযাশা থাকলেও রাজ্যে ২০০ গন্ডি অনায়াসে পার করে তৃতীয়বারের জন্য নীল বাড়ির দখল নিল ঘাসফুল শিবির। কাজে এল না মোদী ম্যাজিক। তিন সংখ্যার গন্ডি পার করতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০০ আসন পাবার দাবি জানালেও ২৯৪ আসনে প্রার্থী দিতে নাজেহাল হতে হয়েছে বিজেপিকে। এমনকি বাংলার মসনদ দখলের লড়াইে বিজেপির তারকা সাংসদদের ফের ময়দানে নামিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে ডাহা ফেল তাঁরাও! টলিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাসের কাছে মুখ থুবড়ে পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়। হেরেছেন ৫০ হাজারের বেশি ভোটে। হারের মুখ দেখলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
ব্যক্তিগত হার হজম করাই কঠিন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুলের কাছে। কারণ এটা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ফের মাধ্যমিকে ফেল করবার সমান। তার উপর গোদের উপর বিষফোড়া দলের ভরাডুবি। এই নিয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট লিখলেন বাবুল। ভোটের ফলাফল আদতে ‘বাংলার মানুষের ভুল দল নির্বাচন’ বলেই খানিকটা তোপ দাগেন বাবুল। তিনি লেখেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাব না কিংবা বলব না মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। কারণ আমি মনে করি বাংলার মানুষ ঐতিহাসিক ভুল করেছে বিজেপিকে সরকার গড়ার সুযোগ না দিয়ে। বরং দুর্নীতিপরায়ণ, অসৎ, অসমর্থ একটা সরকার নির্বাচন করেছে। নির্মম এক মহিলাকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে'।
বাবুল আরও লেখেন, ‘একজন আইন মেনে চলা নাগরিক হিসেবে একটা গণতান্ত্রিক দেশের মানুষের রায়কে শুধু মেনে চলবো মাত্র, কেবল এইটুকুই, এর চেয়ে বেশি কিছু না'। পরে যদিও এই পোস্ট মুছে দেন বাবুল সুপ্রিয়।
যদিও ২০১৬-র নিরিখে দুর্দান্ত ফল করেছে বিজেপি। তিনটে থেকে বিজেপির আসন সংখ্যা একলাফে ফেরেছে অনেকখানি। শেষ পাওয়া ট্রেন্ড অনুযায়ী, সত্তরের বেশি বিধায়ক নিয়ে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হতে চলেছে গেরুয়া শিবির। ধুয়েমুছে সাফ সংযুক্ত মোর্চা। এই প্রথম বাংলার বিধানসভা হতে চলেছে বাম-কংগ্রেস শূন্য।