প্রশান্ত কিশোরের দাবি মিলিয়ে বাংলায় দুই অঙ্ক পার করতে পারল না বিজেপি। মোদী-অমিত শাহ'র সব হিসাব উলটে দিল বাংলার মানুষ। তৃতীয়বারের জন্য নীল বাড়ির দখল নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বহিরাগত’ ইস্যু বড়ো ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার নির্বাচনে তা কার্যত হার স্বীকার করে মেনে নিয়েছে বিজেপিও। কারণ ২০০-র বেশি বিধায়ক নিয়ে ফের বাংলার মসনদে বসছেন বাংলার মেয়ে।
বাংলার ভোট আবহেই টলিউডের একটা অংশ হাজির করেছিল ‘নিজেদের মতে নিজেদের গান’, যেখানে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন পরমব্রত, অনির্বাণ,ঋদ্ধি, ঋতব্রতরা। ঐক্যের গানে জোর গলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে তাঁরা বলেছেন- ‘আমি অন্য কোথাউ যাবো না, আমি এই দেশেই থাকব’। এর জেরেও ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ। এই শিল্পীদের উদ্দেশে এক সংবাদমাধ্যমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন-'শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের ছেড়ে দিন। না হলে রগড়ে দেব'। এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ভোটের রেজাল্টের দিন দিলীপের এই মন্তব্য টেনেই জবাব দিলেন পরমব্রত। বললেন, ‘আজ বিশ্ব রগড়ানি দিবস ঘোষিত হোক!’
আরও একটি টুইটে ‘প্রলয়’ তারকা নিজেদের গানের লাইন টেনে লেখেন, ‘তোমার কোনো কোনো কোনো, কোনো কোনো কোনো কোনো কথা শুনবো না আর , যথেষ্ট বুঝি কিসে ভালো হবে, নিজেদের মতো ভাববো’।
শুধু পরমব্রতই নন, দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে এদিন টুইট করেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও। অভিনেত্রী লেখেন- ‘আমরা আজকে একটু বারমুডা পরব না? বারমুডা পরব না আমরা?’ উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারমুডা পরবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বাংলার নারীশক্তি বিজেপি নেতাদের এইসব নারীবিদ্বেষী মন্তব্য একেবারেই ভালোভাবে মেনে নেয়নি মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মহিলা ভোট তৃণমূলের জয়ের বড়ো ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।