বুথফেরত সমীক্ষাকেও উলটে দিয়ে নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা যত গড়াচ্ছে তত দেখা যাচ্ছে বাংলা নিজের মেয়েকেই চাইছে। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ আসন পার করে এগোচ্ছে ভোট গগণার প্রাথমিক ট্রেন্ডে। সেই জায়গায় সংযুক্ত মোর্চার বেহাল দশা। ২৯২-টা আসনের মাত্র দুটো-তে এগিয়ে রয়েছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। বাম-কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিগুলিতেও মাটি খুঁজে পেল না মোর্চা। স্বভাবতই হতাশ কর্মী-সমর্থকরা।
একুশের ভোটের আগে টলিপাড়ার সহকর্মী বন্ধুদের শিবির বদল কিংবা রাজনীতিতে নামার হিড়িকে প্রকাশ্যে বামেদের সমর্থন জানিয়ে এসেছেন শ্রীলেখা। রাস্তায় নেমে অভিনেত্রী ভোট প্রচার করেছেন বাম প্রার্থীদের হয়ে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার চালিয়েছেন। দলের দুর্দশার দিন স্বাভাবিকভাবেই আক্ষেপ ঝরে পড়ল শ্রীলেখার গলায়, তিনি এদিনও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের।
শ্রীলেখা লেখেন-'সবার স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড আছে তো? বিজয় মিছিলে সবুজ আবির নিয়ে খেলার পর দরকার পড়বে, নাহলে বলবেন রেড ভল্টিন্টিয়ার্সদের। পলিটিক্যাল ম্যাপে আপাতত না থাকলেও কমিউনিটি হেল্প পাবেন। কথা দিচ্ছি। তবে আমি গর্বিত, যে আমার রক্ত লাল, পাল্টিবাজদের দলে নেই, থাকবো না….মিলিয়ে নেবেন'।
এখানেই থেমে যাননি শ্রীলেখা, এরপর নিজের ফেসবুকের বন্ধু পোস্টের নির্বাচিত কিছু মন্তব্যও ফেসবুকে তুলে ধরেন। লেখেন, ‘চুরির কাছে শিক্ষা হেরে গেল। ভিক্ষা-ভাতার কাছে কর্মসংস্থান হেরে গেল’।
তবে ভোটের ফলাফল যাই হোক মানুষের প্রয়োজনে হারের যন্ত্রণা ভুলে কাজ করে যাওয়ার বার্তা দেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রীর কথায়, আমরা আমাদের কাজ করে যাব, হারলে কষ্ট হয় ঠিক, এই সংগ্রাম আমাদের ছিল, আছে এবং থাকবে। তবুও আমার আমাদের করণীয়টা করব'।