দোরে কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। যে কোনও দিন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে কমিশন। আর নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেই পশ্চিমবঙ্গের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে মোতায়েন হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ক্যাম্পাস ছেড়ে দিতে তৈরি থাকতে বলল নির্বাচন কমিশন। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে ফের খুলতে চলেছে স্কুল। কমিশনের এই নির্দেশিকার ফলে তাদের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর তার সঙ্গেই লাগু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণবিধি। রাজ্য প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কমিশনের হাতে। আইন-শৃঙ্খলা দেখভাল করবেন কমিশনের কর্তারা। রাজ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে এবার ১,০০০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হতে পারে বলে সূত্রের খবর। যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। করোনার জেরে এবার রাজ্যে ৩০ শতাংশ বুথ বেড়েছে। যার ফলে মোট বুথের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। অতিরিক্ত বুথে নিরাপত্তা দিতে দরকার অতিরিক্ত বাহিনী। তাই ভোটের আগে আরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দখল নিতে হবে কমিশনকে।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করানো এমনিতেই কমিশনের কাছে বড় মাথাব্যাথার কারণ। তার ওপরে এবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার আইনশৃঙ্খলায় বিশেষ নজর দিতে চলেছে কমিশন। মুর্শিদাবাদ, মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলায় থাকবে বাড়তি নজরদারি। ইতিমধ্যে এসব এলাকার অপরাধের রিপোর্ট তলব করেছেন কমিশনের কর্তারা। তাছাড়া নতুন বুথগুলিরও আগে ভাগে দখল নিতে পারেন তাঁরা।
ওদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কমিশনের নির্দেশনামায় স্কুল খোলার ভবিষ্যত নিয়েও ফের প্রশ্ন উঠে গেল।