কোথাও হামলা চালানো হচ্ছে বাম সমর্থকদের বাড়িতে। কোথাও হামলা এসে পড়ছে দলীয় কার্যালয়ের উপর। কোথাও আবার খুনের অভিযোগ উঠেছে। ‘লাগামহীন’ ভোট-পরবর্তী হিংসা নিযে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। প্রশ্ন করলেন, এটা কোন ধরনের ‘বিজয় উৎসব?’
সোমবার টুইটারে ভোট-পরবর্তী হিংসার একাধিক ছবি পোস্ট করে ইয়েচুরি বলেন, 'এই ধরনের ভয়ানক হিংসা কি তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় উৎসব? নিন্দনীয়। প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এবং প্রত্যাখান করা হবে। (করোনাভাইরাস) মহামারীর মোকাবিলার পরিবর্তে এরকম হাঙ্গামা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বরাবরের মতো সিপিআইএম মানুষকে রক্ষা করবে, সাহায্য করবে, ত্রাণ প্রদান করবে।'
ভোটের ফল প্রকাশের পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর মিলছে। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি বজায়ের আর্জির পরও পরিস্থিতির উন্নতির হয়নি। উলটে ক্রমশ ‘লাগামছাড়া’ হচ্ছে ভোট-পরবর্তী হিংসা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক বাম ও বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে সরব হয়েছেন দীপ্সিতা ধর এবং ঐশী ঘোষের মতো সিপিআইএমের তরুণ তুর্কিরা। ফলপ্রকাশের দিনই দীপ্সিতা অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার খবর আসছে।
এবার টুইটারে রাজনৈতিক হিংসার একাধিক ছবি পোস্ট করে ঐশী বলেন, ‘কমপক্ষে জনমতকে সম্মান করা উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের। যে জনমত আপনাদের দেওয়া হয়েছে বাংলার মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য, আমাদের মানুষের উপর হামলা চালানোর জন্য। আপনাদের দলের সদস্যরা আমাদের দলীয় কার্যালয়, বাড়িতে হামলা চালাচ্ছেন। এটা বরদাস্ত করা হবে না।’ তবে একইসঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগে ঐশী অভিযোগ করেছেন, ধর্মীয় বিভেদের জন্য অনেক ভুয়ো খবরও ছড়ানো হচ্ছে। তিনি জানান, বাম কর্মী-সমর্থকরা হামলার শিকার হলেও যে কোনও তথ্য শেয়ার করার আগে তা যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।