চৈত্রের তপ্ত দাবদাহের মধ্যেই গোটা দিন যুদ্ধের পর বৃহস্পতিবারই নন্দীগ্রামের মহারণ শেষ হয়েছে। সন্ধ্যার পর বাক্সবন্দি হয়েছে ভোট ভাগ্যও। শুক্রবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে দলীয় কর্মীদের সেই বাক্সবন্দি ‘ভোট ভাগ্য’-কেই পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। যাতে ইভিএমে কেউ কোনও ‘কারচুপি’ না করতে পারে, সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন তিনি।
নন্দীগ্রাম ও হলদিয়া সাব-ডিভিশনের হলদিয়া সাব ডিভিশনের স্ট্রংরুম হিসেবে হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, তমলুক ও সাব-ডিভিশনের ইভিএমগুলি থাকবে কোলাঘাটের কেটিভিপি হাইস্কুলে।
উত্তরবঙ্গ পাড়ি দেওয়ার আগে কর্মীদের চাঙ্গা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে জয় নিশ্চিত। আগামী একমাস শুধু ভালোভাবে ইভিএমগুলো পাহারা দিন।’ তাঁর মতে, ইভিএমগুলি নিরাপদে থাকছে কিনা, সেদিকে নজর রাখাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ভবানীপুরের নিজের পুরনো গড় ছেড়ে এবার আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামকেই বেছে নিয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সম্মুখসমরে লড়েছেন একদা তাঁর দলেরই সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।
তবে প্রত্যেক নির্বাচনের মতো এবারও তাঁকে চেনা ছন্দেই দেখা গিয়েছিল। বেলা ১টা পর্যন্ত নন্দীগ্রামের বেয়াপাড়ার ভাড়া বাড়িতেই ছিলেন তিনি। ঘরে বসেই নির্বাচনের হালহকিকতের খোঁজখবর—সহ ভোটের তদারকিও করছিলেন তিনি। দুপুরে ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছান মমতা। ভোট দেওয়া নিয়ে সেখানকার মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনেন।বয়ালে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক করার দাবিতে দীর্ঘক্ষণ বুথেই ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ফোনে নালিশও করেন রাজ্যপালের কাছে।