ভোট এসেছে উত্তরবঙ্গের সীমান্তেও। কিন্ত ভোট বাজারেও সীমান্তের গরু পাচার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে অনেকের মধ্যেই। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি আগের তুলনায় বর্তমানে পাচার অনেকটাই কমেছে।তবে সীমান্তের যুবকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।এর জেরে পাচারের রাস্তা থেকে সরে যাবেন অনেকেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে ক্ষমতায় যারাই আসুক, সীমান্তের পাচার কি কমবে? গরু পাচারের ক্ষেত্রে কি রাশ ধরতে পারবে ক্ষমতাসীন দল? এই প্রশ্ন ঘুরছে উত্তরবঙ্গের সীমান্ত এলাকায়।
উত্তরবঙ্গের দুই জেলা মালদা আর কোচবিহার। গরু পাচারের নানা অভিযোগ ওঠে বার বার। কোচবিহারের বলরামপুর, গীতালদহ, সিতাইয়ের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের নানা অভিযোগ।অন্যদিকে মালদা সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পাচারকারীদের আনাগোনার অভিযোগ। এদিকে উত্তরবঙ্গে প্রচারে এসে বিজেপি নেতৃত্ব বার বারই গরু পাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ উত্তরবঙ্গে শিল্পের সম্ভাবনা থাকলেও তা বাস্তবে অনেকক্ষেত্রেই রূপ পায়নি।কর্মসংস্থানের সুযোগও কার্যত তলানিতে।বাধ্য হয়েই ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যান বাসিন্দারা।
অন্যদিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার আরও গভীর। সীমান্তের যুবকদের একাংশ বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গরু পাচারের মতো অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে যান। বছরের পর বছর ধরে চলে এই চক্র। তবে বাসিন্দাদের একাংশের মতে ইদানিং গরু পাচার আগের তুলনায় কমেছে অনেকটাই। তবে বাসিন্দাদের দাবি এই পাচার পুরোপুরি বন্ধ হবে কবে? কবে এই পাচার চক্র থেকে মুক্ত হবেন সীমান্তের যুবকরা? ভোট বাজারে উত্তরবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় ঘুরছে নানা প্রশ্ন।ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি ভোট প্রচারে গিয়ে নানা আশ্বাস দিয়েছে।কিন্ত বাস্তবের মাটিতে কি গরু পাচার বন্ধ হবে? নাকি ভোট মিটলেই ফের শুরু হবে গরু পাচার? ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা আব্দুর রউফ বলেন, সীমান্ত এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ যথাযথ না থাকায় যুবকদের একাংশ বিপথে যেতে বাধ্য হন। আমরা চাই তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে হবে।