বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও শিশির বাজোরিয়ার টেলিফোনিক কথোপকথনে আড়ি পাতা হয়েছিল কার নির্দেশে? রবিবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরে এই প্রশ্ন তুললেন অমিত শাহ। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই টেলিফোনিক কথোপকথনে যে বক্তব্য রয়েছে তা আমরা লিখিত ভাবে কমিশনকে দিয়েছি। তাহলে এর মধ্যে গোপনীয়তার কী আছে?’
শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর প্রকাশ্যে আসে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও শিশির বাজোরিয়ার একটি অডিয়ো ক্লিপ। তাতে কমিশনের কাছে বুথের বাইরের ভোটারকেও সেই বুথে এজেন্ট করার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানানো নিয়ে কথোপকথন শোনা যায়। সেই অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে শাহকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এতে গোপনীয়তার কী আছে?
শাহের কথায়, ‘ওই অডিয়ো ক্লিপে যা আছে তা তো আমরা লিখিত আকারে কমিশনকে দিয়েছি। তাহলে ওরা বোমা কোথায় ফাটাল?’
এর পরই তৃণমূলকে আক্রমণ করে সাংবাদিকদের শাহ বলেন, ‘বরং আপনাদের তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা উচিত, এই ফোনে আড়ি পাতা হল কার নির্দেশে। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর ফোনে আড়ি পাতা কোথাকার নৈতিকতা? বিরোধী দলের নেতাদের ফোনে আড়ি পেতে গণতন্ত্রকে ধূলিস্মাৎ করছে তৃণমূল।’
শাহের দাবির প্রতিক্রিয়ায় এক টুইটে তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন বলেন, ‘বাংলায় তৃণমূল একতফা ভাবে জিতবে। মোদী শাহের ভবিষ্যদ্বানী খাটবে না। গুজরাতি জিমখানায় আপনাগদের ভবিষ্যদ্বানী খাটান। এটা বাংলা’