রাজার শহর কোচবিহার।একসময়ের ফরওয়ার্ড ব্লকের গড় বলে পরিচিত কোচবিহার। বামেদের সেই গড় কার্যত ক্ষয়িষ্ণু। শহর জুড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে তৃণমূল আর বিজেপির পতাকায়।বৃহস্পতিবার শহর জুড়ে চলছে রাজনৈতির দলগুলির শেষবেলার প্রচার। কিন্ত এবারের বিধানসভা ভোটে সেই রাজার শহরে শেষ হাসি হাসবে কারা? এনিয়েই চলছে জোর চর্চা।রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেও চলছে অঙ্ক কষার কাজ।
কোচবিহার শহরটি পড়ছে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে। এই বিধানসভা কেন্দ্রে কোচবিহার শহরের পাশাপাশি ৯টি পঞ্চায়েত এলাকাও রয়েছে। কোচবিহার দক্ষিণে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। যুব তৃণমূলের নেতা।শহরের যুব সমাজের একাংশের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে।অন্যদিকে এবার কোচবিহার দক্ষিণে বিজেপির প্রার্থী নিখিলরঞ্জন দে। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি।দক্ষ সংগঠক বলেই এলাকায় পরিচিত। অন্যদিকে বাম জোটের প্রার্থী হয়েছেন অক্ষয় ঠাকুর।বাম জমানায় দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিধায়ক ছিলেন।তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কোচবিহার শহরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে বিজেপি। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে শহরের সিংহভাগ বুথেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এর সঙ্গেই সম্প্রতি ঠিক ভোটের মুখে তৃণমূলের রক্তক্ষরণ আরও বাড়িয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান ভূষণ সিং।
তবে কি সব মিলিয়ে কোচবিহার শহরে ভোটের মুখে কিছুটা হলেও বিপাকে শাসকদল? ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর তপন কুমার ঘোষ বলেন,তৃণমূলের প্রার্থীর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে।তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেন, কোচবিহারে প্রতিটি আসনেই বিজেপি এগিয়ে থাকবে। বাম প্রার্থী অক্ষয় ঠাকুর বলেন, আমাদের আসল লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই কোচবিহার শহরে।