শুধু নন্দীগ্রাম নয়, সিঙ্গুর থেকেও নাকি ভোটে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। কী কারণে নিজের মনোবাঞ্চা পূরণ হয়নি, তা সিঙ্গুরে দাঁড়িয়েই জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রামের সঙ্গে সিঙ্গুরকে একসূত্রে বেঁধে মমতা দাবি করেন, গত বছর থেকেই সিঙ্গুরে লড়াইয়ের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেজন্য সিঙ্গুরের বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বেচারাম মান্নাকে কথা বলতেও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সিঙ্গুর আসন ছাড়তে চাননি ‘মাস্টারমশাই’। মমতার কথায়, ‘আজ আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছি। আপানারা কী জানেন, গত বছর আমার ইচ্ছা ছিল, আমি সিঙ্গুরে দাঁড়াব। তার কারণ আমার দুটি আন্দোলনের জায়গা বলে। আমি বেচাকে বললাম, একটু মাস্টারমশাইকে বোঝা না, মাস্টারমশাই যদি এখান থেকে না দাঁড়ান, অন্য কোথা থেকে দাঁড়ান, তাহলে আমি সিঙ্গুর থেকে দাঁড়াতে পারি। বেচা বলল, মাস্টারমশাই শুনবেন না। আমি বললাম, ঠিক আছে ভাই। কোনও সমস্যা নেই। আমার আবেগ সিঙ্গুরেও ছিল। আমি চেষ্টাও করেছিলাম।’
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ দাঁড়াতে চাইলেও দলের নীতির কারণে তৃণমূলের টিকিট পাননি। সেক্ষেত্রে তিনি সিঙ্গুর থেকে কেন দাঁড়ালেন না, সে বিষয়ে অবশ্য তিনি কিছু জানাননি। বরং ‘মাস্টারমশাই’ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় অবাক হয়েছেন বলেও জানান মমতা। বলেন, 'আমি ভেবে পাই না মাস্টারমশাই কীভাবে দাঁড়ান বিজেপির হয়ে! মাস্টারমশাইকে আমি সম্মান জানাই, তাঁর বয়সটাকে আমি সম্মান জানাই। আমি তো এতদিন তাঁকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছি। চারবার জিতিয়েছি, দু'বার তো আমাদের সময়েই। আমি নিজে বলেছিলাম, মাস্টারমশাই আপনি যেহেতু আমাদের সকলের থেকে বয়জ্যেষ্ঠ, তাই আপনি আমাদের পরামর্শ দিন। আপনাকে কোনও একটা উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান বা কিছু একটা করে দেব। সেখান থেকে আপনি আপনার সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। আজ আগামী পাঁচ বছরের জন্য বেচাকে এখানে কাজ করতে দিন।'