একটা সময়ে বাম শিবিরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন। আর এ বার রং বদলের খেলায় গেরুয়া জার্সি গলিয়ে নিয়েছেন রুদ্র। বিজেপি-তে যোগ দিয়েই ভবানীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছেন। আর ভবানীপুরের তৃণমূল দাঁড় করিয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিচক্ষণ প্রবীণ নেতাকে। মমতা নিজে না দাঁড়ালেও মুখ্যমন্ত্রীর ঘাঁটিতে বিজেপি-র জয় পাওয়াটা বেশ কঠিন। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রুদ্রনীল বলে দিয়েছেন, ‘হেরে যাবেন নিশ্চিত জেনেই দিদি কেন্দ্র ছেড়ে পালিয়েছেন। এই কেন্দ্রের অবস্থা দিদি নিজের হাতে খারাপ করে দিয়েছেন।’
এখানেই থেমে থাকেননি রুদ্র। তৃণমূলের পাশাপাশি বামফ্রন্টকেও এক হাত নিয়েছেন। বলেছেন, ‘বামপন্থীরা বামপন্থার কথা বলেন। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে সবটাই ভুলে যান। যে কারণে আমি দল ছেড়েছিলাম। মানসিকতার দিক থেকে কিন্তু পাল্টাইনি। তৃণমূলের উপর আস্থা তৈরি হয়েছিল। সব মানুষের উপকার হবে, এটাই ভেবেছিলাম। তারপর দেখি এখানেও দুর্নীতি হচ্ছে, কিন্তু কারও কোনও শাস্তি হচ্ছে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর বর্তমান কেন্দ্রের একগুচ্ছ সমস্যার কথা বলেছেন সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া অভিনতা। আসলে ঘুরিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীরই সমালোচনা করেছেন, ‘আমি যত দূর জানি, ভবানীপুরে জলের সমস্যা রয়েছে। ড্রেনেজ সিস্টেমও ভাল নয়। বৃষ্টি হলেই বহু জায়গায় জল জমে যায়। ভবানীপুরের যে সকল ব্যবসায়ীরা রয়েছেন, তোলাবাজির দাপটে তাঁরা রীতিমতো বিরক্ত। চাকরি চাইতে গেলে মার খেতে হয়। আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি তো রয়েছেই। সমস্যার কোনও শেষ নেই।
’এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘যদি আমি জিতি, তবে সবার আগে ভবানীপুরের মানুষের সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করব।’