‘শীতলকুচির অপর বুথে মৃত্যু হয়েছিল আনন্দ বর্মণের। তিনি কি বাংলার ছেলে ছিলেন না?’ তাঁর মৃত্যু নিয়ে চুপ কেন তৃণমূল নেত্রী, কার্যত এই প্রশ্নই তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শীতলকুচির পাঠানপুলিতে শনিবার ভোটের দিনই মৃত্যু হয়েছিল সদ্য ভোটার আনন্দ বর্মণের। বাসিন্দাদের দাবি, ভোটের লাইনের কাছেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছিল। তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরই আনন্দ বর্মণকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছিল। এদিকে ওই একই দিনে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এই ঘটনাকে সামনে এনে বার বার অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি বলেছেন, 'টোটালটাই প্ল্যান করেছেন অমিত শাহ। মোদী সবটা জানেন।'
সোমবার হেমতাবাদের সভা থেকে এবার মমতাকে নিশানা করে পালটা তোপ দাগলেন অমিত শাহ। তা করতে গিয়ে সেই শীতলকুচিতেই আনন্দ বর্মণের মৃত্যুকে সামনে আনলেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, ‘শীতলকুচির অপর বুথে মৃত্যু হয়েছিল আনন্দ বর্মণের। তিনি কি বাংলার ছেলে ছিলেন না? তিনি রাজবংশী যুবক ছিলেন। সে কারণে তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এনিয়ে কিছু বলেননি।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এখনও উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় ভোট বাকি রয়েছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল। এনিয়ে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে সুর চড়াতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এবার সুকৌশলে আনন্দ বর্মনের মৃত্যুকে সামনে এনে রাজবংশী ভাবাবেগকে উসকে দেওয়ার যাবতীয় চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের দাবি, পাঁচজন মৃতের নামই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি সোমবার দিনভর উত্তরবঙ্গে প্রচারে এসে ফের সেই রাজবংশীদের মন জয়ে একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রচারে ঝড় তোলার চেষ্টা করলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন তৈরির বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বীরচিলা রায়ের নামে প্যারামিলিটারি ট্রেনিং সেন্টার তৈরির ব্যাপারেও আশ্বাস দিয়েছেন শাহ।