ফের বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা। এবার তাঁর মহিলা সিআরপিএফ। তবে পুরুষ সিআরপিএফের পাশাপাশি মহিলা সিআরপিএফ জওয়ানও থাকবে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায়। কারণ নিজেকে নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে বলে দাবি করলেও শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামেই বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভ ছিল মহিলাদের। কখনও হাতে ঝাঁটা–লাঠি নিয়ে, আবার কখনও বা কালো পতাকা। তাতে শুভেন্দুর বিড়ম্বনা বাড়ছিল। আর তাই এবার শুভেন্দুর নিরাপত্তায় অভিনব মহিলা–সুরক্ষা বলয়।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ, নন্দীগ্রামের প্রচারে গেলেই শুভেন্দুকে বাধা দিতে ফন্দি ফিকির বার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারীর প্রচারে সমস্যা তৈরি করতে দলে দলে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরছেন। সুরক্ষা বলয়ে থাকা পুরুষ নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সরাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে এবার শুভেন্দুর নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হল ৩০ জন মহিলা সিআরপিএফ।
এই বিষয়ে তমলুক জেলার সাংগঠনিক সহ–সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘বিজেপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা কর্মীদের এগিয়ে দিচ্ছে। শুভেন্দুর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসের শেষে রাজ্য সরকারের জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ছেড়ে দেন শুভেন্দু। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়া মাত্রই তাঁকে ‘জেড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। মেলে বুলেটপ্রুফ গাড়িও। কিন্তু তাতেও বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে শুভেন্দুকে। আর ভোটের তাই শুভেন্দুর নিরাপত্তা বলয়ে যুক্ত করা হল মহিলা সিআরপিএফ–কে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মা–বোনেদের’ রুখে দাঁড়ানোর জন্য বারবার বার্তা দিয়েছেন। হাতা খুন্তি নিয়ে ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছেন নেত্রী। তার জেরে বিভিন্ন জায়গাতেই বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের। সে কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের দিন নন্দীগ্রামে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের ৩৫৫ বুথকেই স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারই মধ্যে শুভেন্দুর নিরাপত্তা বাড়ানো হল।