গত শনিবারই অনুষ্ঠিত হয়েছে টেলিভিশনের সবচেয়ে চর্চিত রিয়ালিটি শো বিগ বসের নতুন সিজনের গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার । কিন্তু ইতিমধ্যেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বিগ বস সিজন ১৪। সৌজন্যে বিগ বস প্রতিযোগী সারা গুরপাল। গত সিজনে শেহনাজ গিল এবং হিমাংশী খুরানার পর এই বছর পাঞ্জাবের মাটির সোঁধা গন্ধ নিয়ে বিগ বসের ঘরে হাজির হয়েছেন সারা। তবে এই পঞ্জাবি নায়িকা তথা গায়িকা শুরুতেই নাকি মিথ্যা কথা বলেছেন! সলমন খানের সামনে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মিথ্যে কথা বলেছেন সারা । বিয়ের খবর বেমালুম লুকিয়েছেন এই পঞ্জাবি কন্যা। সেই দাবি তুললেন সারার স্বামী তুষার কুমার। এই পঞ্জবি গায়ক জানান ২০১৪ সালে সারা তাকে বিয়ে করেছিলেন। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে একটি ম্যারেজ সার্টিফিকেট এবং নিজেদের বিয়ের একগুচ্ছ ছবিও তিনি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিন্তু হঠাৎ এতদিন পরে এই কথা ওঠার কারণ ? তুষার দাবি করেছেন ২০১৪ সালের ১৬ই অগস্ট তাঁদের জলন্ধরে তাঁদের বিবাহ হয়েছিল । যদিও এখনও নিজেকে সিঙ্গল বলেই দাবি করে চলেছেন সারা । তাঁর দাবি যাঁর সাথে তুষারের বিয়ে হয়েছে সেই মেয়েটির মুখের সাথে অনেকটা তাঁর মুখের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে । তাই সকলের ভুল হচ্ছে । অপরদিকে তুষারের দাবি , সারা নিজেকে সিঙ্গল ঘোষণা করার পরেই সারা পৃথিবী থেকে ফোন আসতে শুরু করে তাঁর কাছে , বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য । তাই বাধ্য হয়ে আজ এই ছবি তিনি পোস্ট করেছেন ।
উল্লেখ্য তুষারের শেয়ার করা ছবিতে নববধূর সাজে সিঁদুর এবং হাতে লাল সাদা চুরি পরে পাঞ্জাবি গায়কের পাশে যাঁকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে অবিকল সারা বলা যেতেই পারে । তবে শংসাপত্রে তুষারের স্ত্রীর নাম হিসাবে লেখা রয়েছে রচনা দেবী।
তুষারের দাবি নিজের ফলোয়ার ভক্ত বাড়ানোর আশায় এবং মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভেই সারা তাঁকে বিয়ে করেছিলেন । কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর তরফ থেকে বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে এখন সম্পর্ককে অস্বীকার করছেন ।
সারাকে ঘিরে বিতর্কের শেষ এখানেই নয়, সারার নিষ্পাপ প্রাণচঞ্চল ব্যক্তিত্বের পিছনে একজন অন্য মানুষ আছে বলেই মত, শোয়ের অপর পঞ্জাবি প্রতিযোগী শেহজাদ দেওলের । সারা নিজেকে যতটা সরল- হাসিখুশি ভাবে মেলে ধরেন , বাস্তবিকে তিনি তা একেবারেই নন। তাঁর চালচলন প্রতিচ্ছবি দেখে ইতিমধ্যেই তাঁর সাথে সিজন ১৩র প্রতিযোগী শেহনাজ গিলের মিল খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই । এই পারস্পরিক তুলনা প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের খুশির কথাও জানিয়েছিলেন সারা । কোনোভাবেই বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে না দেখে , যে কোনও পরিস্থিতিরই মুখোমুখি হতে বদ্ধ পরিকর সারা ।