কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইট মানেই তা জন্ম দেবে নয়া বিতর্কের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়া, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা, ঠিকমতো করোনার টিকা না মেলায় অনেকেই দোষ চাপিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘাড়ে। আর তাই টুইটারে সকলকে একহাত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। লিখেছিলেন, ‘মোদীজি দেশকে নেতৃত্ব দিতে জানেন না, কঙ্গনা অভিনয় করতে জানে না, সচিন ক্রিকেট খেলতে জানে না, লতাজি গান গাইতে জানে না। কিন্তু এই চিন্দি ট্রোলাররা সব জানে। দয়া করে মোদীজি পদত্যাগ করুন আর এই বিষ্ণু অবতারের এক ট্রোলারকে ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তৈরি করুন।’
এখানেই ক্ষান্ত দেননি অভিনেত্রী। তাঁর মতে লোক সংখ্যার আধিক্য, দারিদ্র্য, অশিক্ষার জন্যই নাকি করোনায় এত লোক মারা যাচ্ছে। নিজের টুইটে কঙ্গনা লেখেন, ‘যদি সত্যি জানতে চান, তাহলে শুনুন, বিপুল জন সংখ্যার চাপ, দারিদ্র্য, অশিক্ষা এবং ভীষণ কমপ্লেক্সের একটা দেশে, এর থেকে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। সবাই সবার সেরাটা দিচ্ছে। ব্যক্তিগত ক্ষতি মেনে নিয়ে আমাদের সেই মানুষটার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। কিন্তু না, যে সবসময় মানুষের পাশে থাকে, তাঁকেই পাঞ্চিং ব্যাগ বানাবে!’ সঙ্গে, একটি ছবিতে তিনি অক্সিজেন এবং করোনা সংক্রান্ত কেন্দ্রের নানা কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন।
এই টুইটে কঙ্গনা সরাসরি ভারতবর্ষের অপমান করেছেন বলে দাবি করেছেন নেটাগরিকরা। তাই ফের ট্রোলিং শুরু হয় তাঁকে নিয়ে। ‘প্রধানমন্ত্রীর চামচা’ বলেও উল্লেখ করেন কেউ কেউ।
সপ্তাহখানেক আগে এক টুইটারে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, করোনা ভাইরাসের ফলে অনেক মানুষ মারা গেলেও প্রকৃতির জন্য অনেক ভালো হচ্ছে। সঙ্গে পরিবেশ বাঁচানোর টিপসও দিয়েছিলেন নেটিজেনদের। তখনও নায়িকার সেই টুইট মেনে নিতে পারেননি সকলে। ট্রোলড হয়েছিলেন ‘থালাইভি’ অভিনেত্রী।