বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের দ্বিতীয় বিয়েও টিকল না। অনেক জল্পনার অবশেষে তিনি নিজেই সেকথা জানিয়ে দিলেন সেই দেশের সংবাদমাধ্যমকে। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন অপু বিশ্বাস আর শবনম বুবলী দুজনেই এখন অতীত।
দিনকয়েক আগেই ছিল বুবলীর জন্মদিন। আর সেদিন বাংলাদেশের এই নায়িকা জানিয়েছিলেন জন্মদিনে তাঁকে একটা হিরের নাকচাবি উপহার হিসেবে দিয়েছেন শাকিব। যদিও পরে নায়ক তা অস্বীকার করেন। এবার প্রথম আলো-কে বললেন, ‘ডায়মন্ডের নাকফুল তিনি উপহার পেতেই পারেন। ১টা কেন, ১০টাও পেতে পারেন। তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবেরা আছেন। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করে একটা কথা বলতে চাই, কোনো ধরনের ডায়মন্ড নাকফুল আমি তাঁকে উপহার দিইনি।’
শাকিব সঙ্গে জানালেন বেশ কয়েকমাস ধরেই তাঁর সঙ্গে বুবলীর সেরকম কথা হয় না। তবে অবশ্যই খোঁজ নেন ছেলে শেহজাদের। সেই সূত্রেই কথা হয়। বাদবাকি ব্যক্তিগত কথা হয় না বললেই চলে।
জন্মদিনের পরদিনই বুবলী তাঁর ফেসবুক পেজে তাজমহলে শাকিব খানের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘যে জায়গাটায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এটি সম্রাট শাহজাহান এবং মমতাজের শোবার ঘর। বিয়ের পর শুটিংয়ে দুজনেই খুব ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু তার ফাঁকেও খুব অল্প সময়ের জন্য ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত ভালোবাসার সবচেয়ে বড় নিদর্শন তাজমহল দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন উনি আমাকে।’ এই প্রসঙ্গে শাকিব বললেন, ছবিটা নাকি ২০১৮ সালের। নাকাব সিনেমার শ্যুটের সময় একটু মানসিক চাপে ছিলেন। সেইসময় আজমির শরিফ ঘুরে আসার পরিকল্পনা করেন। তখন সঙ্গে যেতে চায় বুবলী। কাছে তাজমহল থাকায় সেটাও ঘুরে দেখেন তাঁরা। শাকিবের কথায়, ‘পাঁচ বছর আগের এই ছবি পোস্ট করে বুবলী কী বোঝাতে চাইছে, তা সে নিজেই ভালো জানে।’
নিজের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে শাকিব খানের বক্তব্য, ‘মানুষ সম্পর্ক করে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে। সংসার ভাঙার জন্য কেউই সম্পর্ক করে না। আমিও তেমনটাই ভেবে করেছি। কিন্তু একটা সময় গিয়ে বুঝতে পারি সম্পর্কটা আর সুস্থ নেই। মা-বাবার আনহেলদি সম্পর্ক আরও বেশি খারাপ। তার থেকে আলাদা করে বেড়ে ওঠা তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো।’
অপু বিশ্বাসের সঙ্গে মিটমাট হওয়ার সম্ভাবনাও হাওয়ায় উড়িয়ে দেন শাকিব। জানান ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের সূত্রেই তাঁদের কথা হয়। জয় মাঝেমাঝেই তাঁর কাছে এসে থাকে, তখন ছেলেকে ছাড়তে আসে অপুও। স্কুলে যান তিনি ছেলের। সেখানেও দেখা হয় প্রথম বউয়ের সঙ্গে। তার