পাঞ্জাবি গানের জগতের পরিচিত নাম সুখবীর। বলিউডেও চার্ট বাস্টার গান উপহার দিয়েছেন এই পঞ্জাবি গায়ক। সলমন খানের আসন্ন ছবি ‘কিসি কা ভাই, কিসি কি জান’-এর ‘বিল্লি বিল্লি’ গান আপাতত ট্রেন্ডিং-এ। সেই গানের পিছনেও রয়েছেন সুখবীর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অটো-টিউনের ব্যবহার নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করলেন।
গায়কের কথায়, আজকের দিনে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে অটো-টিউনের ব্যবহার খুব স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘টেকনোলজিকে আপনিক কেমনভাবে ব্যবহার করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভরশীল। অটোটিউনে সুরে অদল-বদল করে এবং এমন স্থানে আপনার কন্ঠকে বসিয়ে দেয় যাতে সেটা শুনতে আরও শ্রুতিমধুর লাগে। সকলে অটোটিউন ব্যবহার করে, এমনকি লতা মঙ্গেশকরের গানেও। যবে থেকে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে, এটা গানের পিচ সঠিক করতে ব্যবহার হয়। এতে গানটা শুনতে ভালো লাগে। এবার অটোটিউনের অত্যধিক ব্য়বহার করলে সেটা শুনতে খুব ডিডিট্যাল এবং ইলেকট্রনিক শোনায়, তখন লোকে বলে এটা অটো টিউন করা।’
সুখবীরের সংযোজন, ‘আমিও অটোটিউন ব্যবহার করি যখন হারমোনি রেকর্ড করা হয়, এটে সুর সঠিক জায়গায় বসে যায়। এটা একটা এডিটিং-এর যন্ত্র, কিন্তু হ্যাঁ, এর অপব্যবহারও করা যায়’।
দীর্ঘ সময় বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি থেকে গায়েব থেকেছেন সুখবীর। কেন হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গায়কের কথায়, ‘নাচদি’ গানের ব্যর্থতা তাঁর কাছে বড় ধাক্কা ছিল। বলেন, ‘আমি এই গানে সবটা উজার করে দিয়েছিলাম, টাকা লাগিয়েছিলাম। নিজে মার্কেটিংও করেছিলাম। তা সত্ত্বেও নাচদি চলল না। আমি কপিল শর্মার শো’তে গিয়ে প্রচার করেছিলাম, নিজের সব কানেকশনের ব্যবহার করেছিলাম কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরপর ‘সওদা খরা খরা’ মুক্তি পায় এবং সেটি সুপারিট হয়। তখনই ঠিক করেছিলাম আমি কয়েক বছর অপেক্ষা করব'।
‘বিল্লি বিল্লি’ প্রসঙ্গে সুখবীর বলেন, ‘যখন সলমন ভাইয়ের সঙ্গে কাজের সুযোগ এল তখন বুঝলাম এটাই সঠিক সময়। উনি আমার আরও দুটো গান পছন্দ করেছিলেন, কিন্তু ছবিতে আর জায়গা ছিল না। তাই ওঁনার আবেদনে আমি তিনটে গান মিশিয়ে একটা গান তৈরি করি ‘বিল্লি বিল্লি’।