বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > সুশান্তের ২ দিদির বিরুদ্ধে দায়ের FIR রদ করার পিটিশনের বিরোধিতায় হাইকোর্টে রিয়া

সুশান্তের ২ দিদির বিরুদ্ধে দায়ের FIR রদ করার পিটিশনের বিরোধিতায় হাইকোর্টে রিয়া

সান্তাক্রুজ থানায় হাজিরা রিয়ার, ৮ অক্টোবরের ছবি (PTI)

বম্বে হাইকোর্টে রিয়া নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানালেন মীতু সিং ও প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত। 

সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং ও মীতু সিংয়ের বিরুদ্ধে বান্দ্রা থানায় পালটা এফআইআর দায়ের করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। এনসিবির হাতে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারির মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে দায়ের এই এফআইআর রদ করার জন্য বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ আগেই হয়েছেন মিতু ও প্রিয়াঙ্কা। এবার সেই পিটিশনের বিরোধিতা করে আদালতে আর্জি জানালেন সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। 

বম্বে হাইকোর্টকে সেই পিটিশনের জবাবে রিয়া জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সিং ও চিকিত্সক তরুণ কুমার, দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রেসক্রিবশনের মাধ্যমে বেআইনিভাবে সুশান্তকে ওষুধ খাওয়ানোর যে অভিযোগ তিনি এনেছেন কোনওরকম পরামর্শ ছাড়া তা এক্কেবারে সত্য। 

রিয়া হলফনামায় জানান বান্দ্রা থানায় তাঁর তরফে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা জরুরি, কারণ এই প্রেসক্রিবশন সুশান্তকে পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের জীবন শেষ করে দেন অভিনেতা। 

হলফনামায় রিয়া বলেন ৮ জুন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা সিং ওই প্রেসক্রিপশন সুশান্তকে পাঠিয়েছিল। যেখানে নেক্সিটো (৫ মিলিগ্রাম), লিব্রিয়াম (১০ মিলিগ্রাম) এবং লোনাজেপ (০.৫ মিলিগ্রাম) সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ এবং এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫-এর আওতাধীন। 

জাস্টিস এস এস সিন্ধে এবং এমএস কার্নিকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে ৪ঠা নভেম্বর। 

আইনজীবী মাধক থোরাটের দ্বারা দাখিল করা পিটিশনে সুশান্তের দিদিরা আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়ী করা যেতে পারে না কারণ সেই অভিযোগের ভিত্তি একমাত্র একটি প্রেসক্রিবশন যা এক চিকিত্সকের দেওয়া এবং এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ জাজমেন্ট মেনে চলার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন অনুসারে প্রথম কনসালটেশনে ওই ওষুধ দেওয়া যায় এবং ওগুলির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি নেই। 

পিটিশনে বলা হয়েছে অভিযোগটি অনিয়মের ভরপুর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এবং এই অভিযোগটি অভাবনীয়ভাবে বিলম্ব করে দায়ের করা হয়েছে, যেখানে ৮ জুন যে দিন সুশান্তের বাড়ি থেকে রিয়া নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল সেইদিনের প্রেসক্রিবশন এটি, অভিযোগ দাখিল করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর- প্রায় ৯০ দিন পর।

মুম্বই পুলিশ সুশান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই এফআইআরের কপি তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পরবর্তী সময়ে সুশান্ত মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও এফআইআর দায়ের হলে সেটিরও তদন্ত করবে সিবিআই। 

গত ১৪ জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। সুশান্ত মৃত্যু মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তবে তদন্ত শুরুর পর দু-মাসেরও বেশি সময় পার হলেও এখনও এই মৃত্যু নিয়ে কোনওরকম চার্জশিট দায়ের করেনি সিবিআই। 

বন্ধ করুন