সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিনঃ
এই সময় সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন স্বল্প রোজগারের মানুষরা। মূলত দৈনিক উপার্জনের ভিত্তিতে সংসার চালান, এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। আজ তাঁদের প্রায় না খেতে পাওয়া অবস্থা! জমা টাকা পয়সা নেই বললেই চলে। অথচ কাজ শুরু না হলে অর্থ আসার কোনও রাস্তা নেই! পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কাজে ফিরতে পারা বা আবার রোজগারের জায়গাটা ফিরে পেতে আরও কিছুটা সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে, অনেক মানুষই হয়ত অভাবের জ্বালায় প্রাণ হারাবেন! তাই এটা চুপ করে বসে থাকার সময় নয়। যাঁর পক্ষে যতটুকু সম্ভব সেইটুকু নিয়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
ইমন সঙ্গীত অ্যাকাডেমির তরফ থেকেঃ
আমার নিজের সংস্থা ‘ইমন সঙ্গীত অ্যাকাডেমি’ র তরফ থেকে আমরা একটা উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের একটি ট্রাস্ট রয়েছে, সেই ট্রাস্ট থেকেই এই লকডাউনের সময় আমাদের হাওড়ার লিলুয়া অঞ্চলের দুঃস্থ মানুষদের জন্য নিত্য প্রয়োজনিয় খাদ্যদ্রব্য- চাল, ডাল ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছি। এই ভাবেই মানুষের পাশে আছি। যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি ।
পৃথিবী শান্ত হোকঃ
বেশ কিছু অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। কিছু অনুষ্ঠান পিছিয়ে গিয়েছে। কয়েকটা বিদিশের ট্রিপ ছিল, দেশের মধ্যেও পরপর অনুষ্ঠান ছিল-এখন তো সেই সবের আর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অন্যান্য মিউজিক্যাল কাজকর্ম, রেকর্ডিং, প্লেব্যাক সবই এখন বন্ধ। কবে অবার শুরু হবে তাও এখন বলা যাচ্ছে না, সুতরাং ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এখন কেবল একটাই আশা, পৃথিবী শান্ত হোক, সব কিছু আবার আগের মত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক।
গান এবং পিয়ানোঃ
বাড়িতে টানা আছি বহুদিন পর। নিজের খেয়ালে সময় কাটাচ্ছি। গান তো গাইছিই, তার সঙ্গে পিয়ানোটাও বাজাচ্ছি অনেকটা সময় ধরে। পিয়ানো বাজাতে ভালো লাগে আমার। এখন ভালোই প্র্যাক্টিস হচ্ছে। এই ভাবেই দিন কাটছে। সকলকে বলব, একটু ধৈর্য্য ধরুন। এছাড়া আর কোনও উপায়ও তো নেই। খবরে যা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে লকডাউনের মেয়াদ হয়ত আরও কিছুটা বাড়তে পারে। তাই সকলকে অনুরোধ, মাথা ঠাণ্ডা করে আরও একটু ধৈর্য্য ধরুন। বাড়িতে থাকুন। সচেতন থাকুন। নিজে সুস্থ থাকুন, পাশের লোকজনকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন।