চরমে কঙ্গনা বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের সংঘাত। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে শুরু বাকযুদ্ধ হয় এই দ্বন্দ্ব। সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুম্বই পুলিশ ও মহারাষ্ট্র সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কঙ্গনা। সেই থেকেই টুইটারে শুরু বাকযুদ্ধ। অভিনেত্রীকে মুম্বই না ফেরবার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীও। মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দলের বিধায়ক, সাংসদদের হুমকির তোয়াক্কা না করে জোর গলায় ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই ফেরার কথা ঘোষণা করেন কঙ্গনা। কিন্তু তার আগেই মাত্র চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে বৃহন্মুমই পুরসভার তরফে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় কঙ্গনার অফিস বাড়ি।
বুধবার গোটা দেশ দেখেছে বিএমসির এই তাণ্ডবলীলা। নিজের 'স্বপ্নের মন্দির'-এর ধ্বংসস্তূপ দেখে উদ্ধব ঠাকরেকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন কঙ্গনা। টুইটারে পোস্ট করেছিলেন একটি ভিডিয়ো বার্তা। সেই ভিডিয়ো বার্তার জেরেই এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল কঙ্গনার বিরুদ্ধে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপমান করেছেন কঙ্গনা, এই অভিযোগ এনে বিক্রোলি পুলিশ থানায় এফআইআর দায়ের করেন নিতিন মানে নামের এক জনৈক আইনজীবী। সেই ভিডিয়োতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব সরকারকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন কঙ্গনা। শুধু এই কারণেই দায়ের হল এফআইআর।
ভিডিয়ো বার্তায় কঙ্গনা বলেন, 'উদ্ধব ঠাকরে তোর কী মনে হয়.. তুই ফিল্ম মাফিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার ঘর ভেঙে আমার থেকে প্রতিশোধ নিলি? সময়ের চাকা ঘুরবে। তুই আজ আমার ঘর ভেঙেছিস, কাল তোর অহংকার ভাঙবে। তবে একটা কথা বলে রাখব তুই আমার উপর একটা উপহার করলি। আমি আজ উপলব্ধি করতে পারলাম যে কাশ্মীরি পন্ডিতদের সঙ্গে কী ঘটেছিল। আমি আজ আমার দেশবাসীকে কথা দিচ্ছি আমি শুধু অযোধ্যা নয় কাশ্মীর নিয়েও ছবি তৈরি করব। এবং দেশবাসীকে সচেতন করব। উদ্ধব ঠাকরে, এটা ভালো হল যে এই নৃশংস কাজ, এই সন্ত্রাস আমার সঙ্গে ঘটল। এর নিশ্চয় কোনও কারণ আছে। জয় হিন্দ, জয় মহারাষ্ট্র'।
আইনজীবী নিতিন মানে দাবি করেন অভিনেত্রীকে তিনি আদালতে টেনে নিয়ে যাবেন। কারণ বিএমসির সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। এবং কোনওভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তুই বলে সম্বোধন করা যায় না।
যদিও দমে যাওয়ার পাত্রী নন কঙ্গনা। আজ নিজে পালি হিলসের অফিসে পৌঁছান কঙ্গনা। খতিয়ে দেখেন নিজের ভাঙাচোরা অফিস।আজও টুইটারে উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে মিম শেয়ার করেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, সঞ্জয় রাউত কঙ্গনাকে 'হামারখোর' বলে কটাক্ষ করেছিলেন সেই নিয়ে নীরব ছিল উদ্ধব ঠাকুর, মুখে কুলুপ এঁটেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। সেই সম্পর্কিত একটি টুইটও রিটুইট করে কঙ্গনা। সঙ্গে জুড়ে দেন #KanganaVsUddhav।
এদিন উদ্ধব ঠাকরেকে নাম না করে কঙ্গনা খোঁচা দেন স্বজনপোষণ নিয়েও। বলেন, ‘তোমার পিতার ভালো কর্মফলের জন্য তুমি বিরাট ধনসম্পত্তির মালিক হতে পার। কিন্তু সম্মান তোমাকে অর্জন করতে হয়। আমার মুখ বন্ধ করলে আমার হয়ে আওয়াজ তুলবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। কত জনের মুখ বন্ধ করবে? কতদিন সত্যিটা লুকোবে? তুমি আর কিছুই নও শুধু স্বজনপোষণের একটা উদাহরণ মাত্র’।