প্রায় বছর সাতেক চুটিয়ে প্রেম করে ১৯৮০ সালে চার হাত এক করেছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী। তাঁদের আলাপের পর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বিভিন্ন ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে। যদিও এর বহু বছর আগেই প্রকাশ কউরের সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন 'বীরু'। তবে হৃদয় কবেই বা নিয়ম মেনে চলেছে?
তবে জানেন কি প্রথমবার কোথায় মোলাকাত হয়েছিল এই দুই তারকার? আর সেই প্রথম সাক্ষাতেই হেমাকে দেখে কী মনে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর? ২০১৭ সালে নিজের আত্মজীবনী 'হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল'-এ সেকথা জানিয়েছিলেন ফাঁস করেছিলেন স্বয়ং 'ড্রিম গার্ল'। বিখ্যাত পরিচালক কে এ আব্বাসের 'আসমান মহল' ছবির প্রিমিয়ারে একে ওপরের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ধর্মেন্দ্র এবং হেমার।
হেমা আরও জানিয়েছিলেন তখন সদ্য বলিপাড়ার অন্দরে পা রেখেছেন তিনি। ওই সময়ে এই ছবির প্রিমিয়ারে স্রেফ নিজের পরিচিতি বাড়াতে হাজির হয়েছিলেন এই কিংবদন্তি বলি-অভিনেত্রী। হেমার মা নিজের হাতে তাঁকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। চোখে কাজল টানার সঙ্গে কাঞ্জিভরম শাড়ি ও মাথার খোঁপায় ফুল গুঁজে হেমা যখন ওই ছবির প্রিমিয়ারের মঞ্চে হাজির হচ্ছেন তখনই তাঁকে সামনাসামনি প্রথমবার দেখেন ধর্মেন্দ্র। হেমাও আড়চোখে দেখেছিলেন তাঁকে। মঞ্চে এগিয়ে যেতে যেতে হেমার কানে এল তাঁর উদ্দেশে ফিসফিস করে পাঞ্জাবি ভাষায় পাশে বসা শশী কাপুরকে ধর্মেন্দ্র বলছেন, 'বাহ! মেয়েটা ভারি সুন্দর দেখতে তো'। যদিও সেইসময় ওই কথা এবং ধর্মেন্দ্র দুটি ব্যাপারকেই এড়িয়ে যাওয়া যুক্তিপযুক্ত মনে হয়েছিল 'ড্রিম গার্ল'-এর। যদিও একটু পরে হেমার পিছনে পিছনে সঞ্চালকের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাঁরা দুজনে মঞ্চেও উঠে দাঁড়িয়েছিলেন হেমার পাশে।
প্রথমবার ধর্মেন্দ্র ও হেমার আলাপ হয় 'তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান' ছবির শুটিংয়ে কাজ করতে গিয়ে। সেই শুরু। এরপর আলাপ গড়ায় বন্ধুত্বে। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতায়। 'সীতা ঔর গীতা', 'শোলে', 'বার্নিং ট্রেন' এর মতো বেশ কিছু সুপারহিট ছবিতে জুটি বেঁধে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন এই দুই তারকা। শেষমেশ ১৯৮০ সালে হেমার পরিবারের তরফে তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন 'বীরু' এবং 'বসন্তী'।