বাচ্চারা খুব বেশি সময় ঘরবন্দি হয়ে থাকতে চায় না। বাইরে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠে, করোনাকালে এখন অনলাইনেই চলছে ক্লাস,স্কুলে যাওয়া বন্ধ। লকডাউন উঠলেও বাইরের অ্যাক্টিভিটিতে সন্তানদের পাঠানোর সাহস দেখাচ্ছেন না বাবা-মায়েরা। কীভাবে ঘরের মধ্যেই ছোটদের মন জুগিয়ে চলা যায়, কীভাবে তাঁদের ব্যস্ত রাখা যায় সে ব্যাপারে কিছু দারুণ উপায় নিয়ে হাজির হয়েছেন শাহিদ কাপুর পত্নী মীরা রাজপুত। সেই ব্যাপারে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে মীরা।
ভিডিওতে মীরাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আশা করি আপনাদের সকলের বাড়িতেই বাচ্চা আছে, আর মহামারীর মধ্যে সবার বাচ্চাই ঘরবন্দি হয়ে রয়েছে, খেলনা দিয়ে খেলতে খেলতে তাঁরাও হাঁপিয়ে উঠছে।আমি এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তাই বুঝতে পারছি তোমাদের কী অবস্থা হচ্ছে। বিশ্বাস করুন আমি মাঝে মধ্যে বাথরুমে গিয়ে লুকিয়ে পড়তাম কারণ আমার বাচ্চা যেন আমার বদলে তাঁর বাবাকে খোঁজে'।
এরপর মীরা একগুচ্ছ খেলনার লিস্ট দেখিয়ে বলেন এগুলো দিয়ে শিশুরা ঘরে বসে সহজেই খেলতে পারবে এবং নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারবে। এমনকি কিছু খেলা এমনও আছে যেখানে বাড়ির সকলে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলায় যোগদান করতে পারেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মীরা লেখেন, ‘আপনার ছোট্ট দুষ্টুকে খেলনাগুলো দিয়ে ব্যস্ত রেখে লকডাউন পাগলামিকে কাটিয়ে ফেলুন! একান্তে খেলা হোক কিংবা পুরো পরিবারের সঙ্গে যেগুলো আমার কভারে দেওয়া রয়েছে'।
শাহিদ মশকরা করে অবশ্য বলেন কেউ তাঁকে সিরিয়ালি নেবে কারণ, সে ‘খুব অল্পবয়সী মা’। তিনি মীরার পোস্টে কমেন্ট করে লেখেন, ‘কেউ তোমাকে সিরিয়াসলি নেবে না, কারণ তুমি দুজনের মা হওয়ার ক্ষেত্রে এখনও অনেক কম বয়সী'।
প্রসঙ্গত, মীরা মাত্র ২০ বছর বয়সে শাহিদের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন। এক বছরের মধ্যেই তাঁদের প্রথম কন্যাসন্তান হয় মিশা। ২০১৮ সালে তাঁদের পুত্র সন্তান জৈনের জন্ম হয়, মীরার ২৪তম জন্মদিনের মাত্র দু-দিন আগে। তাই নিঃসন্দেহে খুব অল্প বয়সেই দুই সন্তানের জননী হয়েছেন মীরা।
গত বছর ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে শাহিদ জানান বিয়ের পর সব কিছু সামলে উঠা যথেষ্ট কঠিন ছিল মীরার কাছে। তিনি বলেন, ‘খুব কম বয়সে তাঁর বিয়ে হয়। তার মধ্যেই তাঁর দুটো বাচ্চা হয়ে যায় যখন সে নিজেও নিজের ছোটবেলা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে না। তাঁরও অনেক স্বপ্ন অনেক ইচ্ছে আছে কিন্তু সে সেগুলোকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। এটাই যথেষ্ট নয় কি!’