শুক্রবার রাত থেকে টুইটার ইন্ডিয়ায় পয়লা নম্বরে ট্রেন করছে যে হ্যাশট্যাগ তা দেখলে আপনি ভিরমি খেতে পারেন। হ্যাঁ, #VirushkaDivorce- এই নিয়েই এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছেন মাইক্রোব্লগিং সাইটে। এই মাথামুন্ডুহীন ট্রেন্ডের সূত্রপাত বিরুষ্কার বিচ্ছেদের একটি পুরোনো আর্টিকেলকে ঘিরে। বিয়ের আগে কিছুসময়ের জন্য আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন এই প্রেমিক যুগল,তেমনই খবর সামনে এসেছিল। সেই পুরোনো প্রতিবেদনের কপি ঘিরেই এই হ্যাশট্যাগ! বিরুষ্কার সম্পর্কে কোনওরকম সমস্যা নেই। তাঁরা ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ এটা জলের মতোই পরিষ্কার। কিন্তু থামার নাম নিচ্ছে না টুইটার। প্রতিবেদনটি যে ২০১৬ সালের তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
বিরুষ্কার এই ডিভোর্সের আলোচনা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুজ্জরের এক আজব দাবিকে কেন্দ্র করে। অনুষ্কা শর্মা ‘অ্যান্টি-ন্যাশনাল’ শো পাতাল লোকের প্রযোজক সেই কারণেই নাকি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের উচিত অনুষ্কার সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানা, মন্তব্য করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের লোনির এই বিধায়ক। নন্দকিশোর গুজ্জর বলেন, 'বিরাট কোহলি দেশভক্ত, দেশের জন্য ও খেলে। অনুষ্কাকে ডিভোর্স দিয়ে দেওয়া উচিত'।
একদিকে টুইটারে যখন বিরুষ্কার ডিভোর্স ট্রেন্ড করছে তখন এই সেলেব দম্পতির ভক্তরাও মাইক্রো ব্লগিং সাইট ভরাচ্ছেন মজাদার মিম দিয়ে। বক্তব্য- ‘টুইটার অব বস হো গায়া’।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরের ইতালির তাসকানিতে রাজকীয় বিয়ের পর্ব সারেন বিরাট-অনুষ্কা।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জুটির বন্ডিং আরও বেশি মজবুত হয়েছে। লকডাউনে ‘কপল গোলস’ কাকে বলে সেটা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন বিরুষ্কা। বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মার একের পর এক কারনামা সুপারহিট নেটদুনিয়ায়। কখনও বিরাট কোহলির চিয়ারলিডারের ভূমিকায় অনুষ্কা, কখনও আবার স্বামীর চুল কাটছেন নায়িকা, সম্প্রতি দুজনকে একসঙ্গে ক্রিকেট খেলতেও দেখা গেছে।