করোনাভাইরাস সংকোট মোকাবিলায় দেশজুড়ে জারি লকডাউন। একটানা চল্লিশদিন ধরে ঘরবন্দি ভারতবাসী। এইসময়ে দেশবাসীকে সুস্থ বিনোদন পৌঁছে দিতে শুরু হয়েছে ফিভার নেটওয়ার্কের #100Hours100Stars-র যাত্রা।
এই উদ্যোগে শামিল হয়েছেন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী শান্তনু মুখোপাধ্যায়,যিনি গোটা বিশ্বের কাছে শান নামেই পরিচিত। জীবন যে কতটা অনিশ্চিত তা Covid-19 আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। জীবনের ছোটছোট দিক গুলোতেও আমরা এখন খুশি খোঁজবার চেষ্টা করছি। একটা হাসি কিংবা আলিঙ্গনের মধ্যেও যে একটা আলাদা ভালোলাগা আছে তা উপলব্ধি করছি। সেই ভালোলাগার সেলিব্রেশন ফিভার নেটওয়ার্কের এই উদ্যোগ।
লাইভ আড্ডায় শান জানান,চার বছর বয়সে প্রথমবার স্টুডিওয় গান রেকর্ড করেছিলেন তিনি।বাবা ও দিদির সঙ্গে বাংলায় নাসার্রি রাইম গাইবার স্মৃতিচারণা করলেন শান। বিড়াল-কুকুরদের থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় না,সেই নিয়ে সম্প্রতি একটি গানও গেয়েছেন শান। সে ব্যাপারেও দর্শকদের সচেতন করলেন তিনি।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে স্টেজ শো বন্ধ। ভবিষ্যত অনিশ্চিত,তবুও যা আছে তাতেই খুশি শান। গায়ক জানান, ‘অগস্ট-সেপ্টেম্বরে মাসে আমার একটি ইউরোপ ট্যুর ছিল যা বাতিল হয়ে গিয়েছে। অক্টোবর মাসে একটি ইউএস ট্যুর রয়েছে তাও হয়ত বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু আমি যা পাই তাতেই খুশি। বড়ে গুলাম আলি খানের কথায় বলব-কাঁহা আকে রুখনে থে রাস্তে, কাঁহা মোড় থা উসে ভুল যা’।
গজল গায়িকির বড় ভক্ত শান বলেন ভবিষ্যতে গজলের অ্যালবাম প্রকাশ করতে চান তিনি, তবে এর জন্য আরও তালিম প্রয়োজন। সেটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
লকডাউন খুললে সবার প্রথম কী করলেন শান? সঙ্গীতশিল্পী জানান তিনটে কাজ করতে চান। প্রথম,কাছের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করবেন।দ্বিতীয়ত, পছন্দের রেঁস্তোরায় খাবার খাবেন এবং সবচেয়ে জরুরি চারজন মানুষের জন্য হলেও লাইভ পারফর্ম করবেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ ফিভার নেটওয়ার্কের। ২রা মে থেকে শুরু হয়েছে #100Hours100Stars-র যাত্রা। যা এই দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল ফেস্ট। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এই কঠিন সময়ে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানানোর পাশাপাশি ১০০ ঘন্টার সুস্থ বিনোদন পৌঁছে দেওয়ায় হচ্ছে দেশবাসীর কাছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে অভিনেতা কিংবা ক্রীড়াবিদ কেমনভাবে কাটছে তাঁদের লকডাউনের দিনগুলো? বাড়ি বসেই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তাঁর হদিশ দিচ্ছেন তারকারা। এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।