পর্দায় তিনি নিজের হাতেই ককপিটের সেফ ল্যান্ডিং করাতে জানেন। তবে বাস্তবেও মানুষকে তিনি নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দিতে এক্সপার্ট। করোনা সংকটের মতো কঠিন সময়ে নিজের চেষ্টায় ভিন দেশে আটকে থাকা বহু বাঙালিকে ঘরে ফেরাচ্ছেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। রাশিয়ায় আটক পড়ুয়াদের পর এবার দুবাইতে আটকে থাকা বাংলার ১৭১ জন নাগরিককে বাড়ি পৌঁছে দিলেন দেব। রবিবার গভীর রাতে এই ১৭১ জনকে নিকে দুবাই থেকে এক বিমান এসে পৌঁছায় কলকাতায়। এঁরা প্রত্যেকই কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলের বাসিন্দা।
লকডাউনে পায়ে হেঁটে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার করুণ ছবি থেকে হতাশা ঝাঁকিয়ে ধরেছিল দেবকে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধ পরিকর দেব এরপর নিজের চেষ্টায় নেপালে আটক কয়েক শো পরিযায়ী শ্রমিককে নিরাপদে ঘরে ফেরান, জম্মু থেকেও বিশেষ বাসে করে বাংলায় ফিরেয়ে আনেন সেখানে আটক প্রায় চল্লিশ জনকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এরপর দেবের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন রাশিয়ায় আটকে থাকা ৭০ জন বাঙালি পড়ুয়া। দেবের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও টুইট বার্তায় সাহায্যের আবেদন করেছিল এই পড়ুয়ারা কিন্তু লাভ হয়নি। কিন্তু দেবের প্রচেষ্টাতেই বন্দে মাতরম মিশনের আওতায় ঘরে ফেরে তারা। বাংলার মানুষের ঘরে ফেরার কাণ্ডারী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত দেব নিজেও। দুবাইতে আটক এই ১৭১ জনকে দিন কয়েক ধরেই দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন দেব।
রবিবার রাতে টুইট বার্তায় অভিনেতা লেখেন, একটু সময় লাগল তবে অবশেষে আমরা পৌঁছাতে পারলাম! আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি লকডাউন শুরুর আগে থেকে দুবাইতে আটকে থাকা ১৭১ জন আজ রাতের বিমানেই কলকাতা ফিরছেন এবং নিজেদের পরিবারের কাছে সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে যাবেন। তবে তার আগে নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন'।
দেবের এই উদ্যোগে আপ্লুত দুবাইতে আটক সেই বাঙালিরা। টুইট বার্তায় সুপারহিরো দেবকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তাঁরা।
দেবের এই প্রয়াসে মুগ্ধ টলিপাড়া। অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্ত সকলেই দেবকে বাস্তব জীবনের সুপারহিরোর আখ্যা দিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই।
এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ঘাটালের সাংসদ। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশে আটক বহু বাঙালিও দেবের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। সকলকেই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন দেব।