অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। ২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’ ছবিতে পিট্টুর ভূমিকায় ‘মনসুর’-এর অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে বন্যায় প্রায় ৪,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। ৭০,০০০ মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর ভিত্তি করে প্রেমের গল্প বুনেছিলেন পরিচালক অভিষেক কাপুর।
সোমবার সেই সিনেমার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে সুশান্তকে স্মরণ করে টুইট করেন অভিষেক। ছবি শেয়ার করে, কেদারনাথ ছবি ‘নমো নমো শঙ্করা’ গানটা ক্যাপশনে লেখেন। সোমবার দু’বছর হয়েছে কেদরনাথ ছবিটি আত্মপ্রকাশ করেছে।
ছবিতে সারাকে পিঠে করে নিয়ে পাহাড়ে চড়েছিল সুশান্ত-
ছবি আত্মপ্রকাশ করার পর পরিচালক অভিষেক কাপুর বলেছিলেন, ‘সুশান্ত মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে একজন অসীম সহ্যশীল ব্যক্তি। প্রচুর ভারী জিনিস পিঠে করে নিয়ে ওকে পাহাড়ে চড়তে হত। ছবিতে নিজের চরিত্রকে ও দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। শারীরিক দিক থেকে ও প্রচণ্ড শক্তিশালী ছিল।’
সুশান্তকে প্রচন্ড ঠাণ্ডায় ভিজতে হত-
ছবির স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী সুশান্তকে বৃষ্টিতে ভিজতে হত। অভিষেক জানিয়েছেন, শ্যুটিং-এর দিনগুলিতে উত্তরাখণ্ডের তাপমাত্রা দুই-থেকে তিন ডিগ্রিতে নেমে যেত। সবাই যখন গায়ে জ্যাকেট পরে থাকত, সুশান্ত তখন কাঁপতে কাঁপতে শ্যুটিং করতেন। সেই সময় তাপমাত্রা জমে যাওয়ার মতো ছিল।
‘কেদারনাথ’-এ শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা-
সুশান্তের সঙ্গে পরিচালক তাঁর কাজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন। তিনি বলেন, ‘কেদারনাথ শ্যুটিংয়ের সময় ও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। তবে শ্যুটিংয়ের স্পটে একদম সঠিক সময় হাজির হয়ে যেত ও। কখনও প্রচন্ড ঠান্ডা বা অন্য কোনও বায়না করত না।’ একে সারাকে পিঠে করে নিয়ে উপরে চড়তে হত, তবে রি-টেকের জন্য অভিনেতা নাকি কখনো মানা করতেন না।
কেদারনাথে সারার ডেবিউ এবং সুশান্তের সঙ্গে কাজ-
অভিষেক জানিয়েছিলেন, যেহেতু কেদারনাথে সারা আলি খানের ডেবিউ হয়েছিল তাই মিডিয়ার সমস্ত স্পট লাইট সারা আলি খানের উপর ছিল। ফলে সেক্ষেত্রে সুশান্ত যেন একটু একা মনে করছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি জানি না কী হয়েছিল। ও অনুভব করতে পাচ্ছিল যে ওকে সেরকম ভালোবাসা দেওয়া হচ্ছিল না। কারণ সেই সময় সারাকে ঘিরে ছিল যাবতীয় আকর্ষণ। ও যেন কিছুটা হারিয়ে ছিল।’