প্রয়াত তরুণ টিকটক তারকা লিয়া স্মিথ। মাত্র ২২ বছর বয়সে মারা গেলেন। তিনি একটি বিরল ক্যান্সার, ইউইং সারকোমা-র সঙ্গে লড়াই করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেন ইন্টারনেটে, যা বেশিরভাগ তরুণদের প্রভাবিত করত। প্ল্যাটফর্মে তাঁর অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী ছিল বলে রিপোর্ট করেছে বিসিসি।
খবরটি তার প্রেমিক নিজের টিকটক হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেছিলেন এবং অনেক সমর্থক সেই পোস্টে তাঁদের শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন স্মিথ ১১ মার্চ প্রায় ১১.৩০ (জিএমটি)-এ মারা যান এবং কখনও ভুলবেন না ভালোবাসার মানুষটিকে। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে চাই যে, সবাই লিয়া সম্পর্কে কথা বলছে এবং সে কতটা আশ্চর্যজনক এবং সে সবাইকে কতটা সাহায্য করেছে৷ আমরা লিয়াকে কখনোই ভুলে যেতে দেব না।’
তার প্রেমিক আর শেয়ার করেছেন যে, স্মিথ তার চিকিৎসার সময় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়েই অনুগামীরা তাঁর আরোগ্য কামনা করে কী বলেছে, সেই সব মন্তব্যপড়েছেন। স্মিথের ভাই লিয়ামও ভিডিয়োটিতে মন্তব্য করেছেন। বলেন, ‘লিয়া এবং এই পরিবারের জন্য তাঁরা যা করেছে তাঁর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ’।
একজন TikTok অনুগামী বলেছেন: ‘লিয়া স্মিথ আপনি আশ্চর্যজনক মানুষ এবং এত শক্তিশালী ছিলেন।’
লিয়ার বন্ধু ভিকি সকল অনুরাগীকে ধন্যবাদ জানাতে একটি আপডেট পোস্ট করেছেন। তাতে যোগ করেছেন: ‘প্রেম যদি তাকে বাঁচাতে পারত, তবে সে চিরকাল বেঁচে থাকত।’
ক্যানসার ধরা পড়ার আগে প্রায় ১০ মাস পিঠে ব্যথায় ভুগেছিলেন লিয়া। তবে তাঁর বাম পায়ে হঠাৎ অসাড়তা তাঁকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। তারপরই ধরা পড়ে মারণ রোগ।
ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যু:
প্রসঙ্গত, ইউইং সারকোমার রোগী ছিলেন টলিউডের অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাও। দু বার ক্যানসার থাবা বসায় তাঁর শরীরে। সেরেও ওঠেন। তবে তৃতীয়বার হঠাৎই ব্রেন হ্যামারেজ। কোমায় চলে যান। আর ফেরানো যায়নি হাসপাতাল থেকে বাড়িতে। ডাক্তাররা মনে করেছিল, ফের ক্যানসার ফিরে আসে তাঁর শরীরে। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। বয়স ছিল তখন মাত্র ২৪।
ইউয়িং সারকোমা একধরনের ক্যানসার, যা প্রাথমিক ভাবে হাড়ে সংক্রমিত হয়। অস্টিওসারকোমার পরে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক হাড়ের ক্যানসার। সবচেয়ে মারাত্মক কথা হল, সম্পূর্ণ সেড়ে ওঠার পরেও, এই ক্যানসার যে কোনও সময়ে আবার ফিরে আসতে পারে।