২০০০ সালের ১৪ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। ছবি হয়েছিল ব্লকবাস্টার হিট। এই ছবির মাধ্যমে বলিউড পেয়েছিল দুই নতুন মুখকে। হৃতিক রোশন এবং অমিশা পটেল। দর্শকমহলে ঝড় তুলেছিল এই নতুন জুটি। ছবির পরিচালনায় ছিলেন রাকেশ রোশন।
'কহো না পেয়ার হ্যায়'র ২৩ পূর্তি, নস্ট্যালজিক হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করলেন হৃতিকের অন-স্ক্রিন ভাই অভিষেক শর্মা। ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে হৃতিকের ছোট ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক। রাকেশ রোশন পরিচালিত এই ছবি ২৩ পূর্ণ করায় নেটমাধ্যমের পাতায় একটি কোলাজ করা ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা।
ইনস্টাগ্রাম সিনেমার একটি ছবির সঙ্গে তাঁর এখনের একটি কোলাজ করা ছবি শেয়ার করে অভিষেক লিখেছেন, 'এটা বেশ একটা লম্বা সফর এবং আমি আশীর্বাদধন্য এমন একটা ঐতিহাসিক ছবির অংশ হতে পেরে। এখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, যা আমি দীর্ঘ সময় ধরে এবং এখনও নিজের সঙ্গে রেখে চলেছি...'। আরও পড়ুন: বছরের পর বছর আটকে ছবি মুক্তি, ‘শনিবারের বিকেল’ নিয়ে সরব বাংলাদেশের পরিচালক ফারুকী
একই সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার জন্য রাকেশ রোশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। লেখেন, 'ধন্যবাদ রাকেশ আঙ্কল আমাকে এই দুর্দান্ত সুযোগ দেওয়ার জন্য ও আমাকে আমার প্যাশন সম্পর্কে শিক্ষদান করার জন্য... ধন্যবাদ হৃতিক দাদা আমাকে প্রত্যেকদিন আরও ভালো হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য... এই সফরের জন্য আমি একটা সুন্দর শৈশব পেয়েছি।'
‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন অভিনেতা হৃতিক রোশন। বিপরীতে ছিলেন অমিশা পটেল। ছবির গল্প মূলত সোনিয়া ও রোহিতের প্রেমকাহিনি নিয়ে তৈরি। রোহিত ও সোনিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হৃতিক ও অমিশা। একে অপরের প্রেমে পড়ে তাঁরা। এরপর রহস্যজনকভাবে খুন হয় রোহিত। সেই শোক থেকে বেরিয়ে আসতে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দেয় সোনিয়া। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁর দেখা হয় রাজের সঙ্গে, যাকে অবিকল রোহিতের মতো দেখতে। এই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন হৃতিক।
এক সাক্ষৎকারে হৃতিক জানিয়েছেন, তাঁর বাবা রাকেশ রোশন শুধুমাত্র তারকাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য পরিচিত ছিলেন। এই ছবিতে নিজের আনকোড়া ছেলেকে কাস্ট করতে অনিচ্ছুক ছিলেন তিনি। রাকেশ কোনও বড় বড় তারকাকে ছবিতে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত হৃতিককে এই ছবির জন্য অফার দেন রাকেশ। ছবি মুক্তির পরই জীবন বদলে যায় অভিনেতর।