এবার কোরিওগ্রাফার তথা পরিচালক গণেশ আচার্যর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনলেন ৩৩ বছরের এক মহিলা সহকর্মী। কর্মক্ষেত্রে জোর করে অ্যাডাল্ট ভিডিও দেখতে বাধ্য করতেন গণেশ আচার্য, পুলিশের কাছে এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নৃত্যশিল্পী। এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, গণেশ আচার্যর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশন এবং আম্বোলি পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা।
শুক্রবারই বর্ষীয়ান কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন গণেশ আচার্য। 'ভারতীয় ফিল্ম এবং টেলিভিশন কোরিওগ্রাফার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক গণেশ আচার্য। সরোজ খানের অভিযোগ ছিল নিজের পদের অপব্যবহার করে ডান্সারদের শোষণ করেন গণেশ আচার্য। এর মাঝেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন গণেশ।
এর আগে তনুশ্রী দত্তর মিটু মামলাতেও নাম জড়িয়েছে গণেশ আচার্যর। ২০১৮ সালে তনুশ্রী নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে মিটুর অভিযোগ আনার পরেই এদেশে আছড়ে পড়েছিল মিটু ঢেউ। নানা পাটেকরের পাশাপাশি গণেশ আচার্যর বিরুদ্ধের পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তনুশ্রী। ২০০৮ সালে হর্ণ ওকে প্লিজ ছবির সেটে একটি গানের শ্যুটিং চলাকালীন নানা পাটেকর তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ এনেছিলেন তনুশ্রী। সেই গানের কোরিওগ্রাফারও ছিলেন গণেশ আচার্য।
গণেশ আচার্য সম্পর্কে তনুশ্রী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘গণেশ একজন মিথ্যাবাদী এবং দুমুখো মানুষ। ওইরকম কথাই ও বলতে পারে। ১০ বছর আগে ও সমান দায়ী ছিল আমার সঙ্গে ঘটা ঘটনার জন্য’।
৩৩ বছর বয়সী নৃত্যশিল্পীর বয়ান অনুযায়ী, ‘ভারতীয় ফিল্ম এবং টেলিভিশন কোরিওগ্রাফার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই নানাভাবে গণেশের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযোগকারীর মতে, 'প্রায়শই অফিসে ডেকে জোর করে অশালীন ভিডিয়ো দেখতে বাধ্য করতেন গণেশ আচার্য। এমনকি এক লক্ষ টাকার মেম্বারশিপ চার্জ দেওয়ার পরেও ওই অ্যাসোসিয়েশন থেকে আমার সদস্য পদ বাতিল করে দেন গণেশ আচার্য। গণেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়ে অন্যান্য কোরিওগ্রাফারও আমাকে কাজ দিতে অস্বীকার করেছেন'।