ইউটিউব থেকে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা আয়! এমনটাই দাবি করে থাকেন ইউটিউবার-রা। দিনে দিনে তাই ক্রমাগত বাড়ছে ইউটিউব চ্যনেল ও ইউটিউবারের সংখ্যা। কী না নেই ইউটিউবে! সব ধরনের চ্যানেল রয়েছে। ইউটিউবের দৌলতে জমিয়ে ব্যবসা করছেন অনেকেই। তবে এরই মাঝে সম্পর্ণ ভিন্ন দাবি করে বসলেন এক ভারতীয় মহিলা ইউটিউবার। ইউটিউব চ্যানেল খুলে নাকি তাঁর লাভ তো হয়ই-নি উল্টে ঘটিবাটি বিক্রি করতে হচ্ছে নলিনী উনাগরকে।
ঠিক কী ঘটেছে নলিনীর সঙ্গে?
নলিনী উনাগর তিন বছর আগে ‘নলিনীর কিচেন রেসিপি’ নামে একটা চ্যনেল খুলেছিলেন ইউটিউবে। যার জন্য নাকি তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন ৮ লক্ষ টাকা। তবে ৩ বছরে এই ৮ লক্ষ টাকা বিনিময় করে তাঁর রিটার্ন নাকি এক্কেবারেই শূন্য। তাই ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, বুধবার তিনি তিন বছরের লড়াইয়ের পর ইউটিউব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন। এমনকি তিনি তাঁর স্টুডিওর সরঞ্জাম এবং রান্নাঘরের সেটআপ এক্স-এ বিক্রির জন্য ছবি পোস্ট করে বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন। নলিনী লেখেন, ‘আমি আমার ইউটিউব ক্যারিয়ারে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, তাই আমার রান্নাঘরের সমস্ত আনুষাঙ্গিক এবং স্টুডিওর সরঞ্জাম বিক্রি করছি। যদি কেউ কিনতে আগ্রহী হন তবে দয়া করে আমাকে জানান।’
আরও পড়ুন-ইয়ালিনি তো নয়! তবে শুভশ্রীর কোলে এটা কার ‘সন্তান’? শিশুটিকে চুমুতে ভরালেন রাজ
আর পড়ুন-'ওশ সন্তানসম ওর জন্য বাড়ির দরজা খোলা', ছেলেকে নিয়ে শ্রীময়ীর মন্তব্যে কী জবাব দিলেন পিঙ্কি?
'ইউটিউবের উপর রাগ'
এদিকে এই কেরিয়ারে ব্যর্থ হওয়ার পর ইউটিউবের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ নলিনী নলিনী উনাগর। তিনি ইউটিউবের অ্যালগরিদম নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, ইউটিউব কিছু কিছু বিষয় ও চ্যানেল নিয়ে পক্ষপাত দুষ্ট। নলিনী জানাচ্ছেন, তিনি 'নলিনীর কিচেন রেসিপি' নামে যে চ্যানেলটি চালাতেন সেখানে তিনি মাত্র ৩ বছরে ২,৪৫০ গ্রাহক সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। সম্প্রতি নিজের সেই চ্যানেলের সব ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি তিনি নিজের ব্র্যান্ড তৈরিতে তিন বছর ধরে ৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বিনিময়ে কিছুই পাননি।
নলিনীর কথায়, ‘আমি আজ স্বীকার করতে চাই - রান্নাঘর তৈরি, স্টুডিওর সরঞ্জাম কেনা এবং প্রচারের জন্য আমারা ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। আক প্রত্যাবর্তন? ০ টাকা।’
ক্ষুব্ধ এই ইউটিউবার বলেন, ‘আমি ইউটিউবের উপর বিরক্ত। এই চ্যানেল তৈরি করতে আমার অর্থ, সময় নষ্ট হয়েছে এবং এমনকি আমার ক্যারিয়ারেও ঝুঁকি নিয়েছি, কিন্তু বিনিময়ে, ইউটিউব আমাকে কিছুই দেয়নি। মনে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি নির্দিষ্ট চ্যানেল এবং নির্দিষ্ট ধরণের ভিডিওগুলিকে বেশি সাপোর্ট করে, কঠোর পরিশ্রম সত্ত্বেও অন্যদের কোনও স্বীকৃতি দেয় না।’
এদিকে নলিনী উনাগরের এই পোস্টের নিচে তাঁর বহু অনুরাগী তাঁকে হাল না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আরেকবার তাঁকে অনেকেই ভাগ্য় পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে নলিনী আর ফিরতে নারাজ। তাঁর কথায় তিনি ৩ বছরে ২৫০টিরও বেশি ভিডিয়ো বানিয়েছেন তবে কোনও লাভ হয়নি। তাঁর কথায় ‘এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে কেরিয়ার গড়তে কিছুটা ভাগ্য প্রয়োজন। তাই এগুলিকেই একমাত্র আয়ের প্রাথমিক উত্স হিসাবে গ্রহণ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার আগেই আপনার দোকান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’