ব্রাইডাল এন্ট্রি। আজকাল যেকোনও বিয়ের অনুষ্ঠানের অন্যতম চর্চিত বিষয় এটি। বিয়েতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অতিথিরা অধীর আগ্রহে বসে থাকেন যে কীভাবে নতুন কনে দারুণ একটা চমক নিয়ে তাঁদের সামনে এসে হাজির হবেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে নব দম্পতি কিংবা যাঁরা বিয়ের সমস্ত পরিকল্পনা করেন, তাঁরাই এই এন্ট্রিকে আরও সৃজনশীল করে তুলেছেন। কেউ ফুলের ছাউনির নিচে দিয়ে হেঁটে আসেন, কেউ আবার থেকে পরিবার বা বন্ধুদের কাঁধে চড়ে আসেন, আবার কখনও বাবা-মায়ের হাত ধরেও বিয়ের মণ্ডপে এসে হাজির হন নতুন কনে। এমনই নানান ধরনের ব্রাইডাল এন্ট্রি আজকাল বেশ জনপ্রিয়।
এরই মাঝে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল নতুন এক ধরনের ব্রাইডাল এন্ট্রির ভিডিয়ো। সেই ভাইরাল ক্লিপটিতে নববধূকে একটি বিশাল স্বচ্ছ বেলুনে মধ্যে ঢুকে বিয়ের মঞ্চে আসতে দেখা যাচ্ছে। যা অকল্পনীয় আবার কিছুটা নাটকীয়ও বটে। আবার কনে যখন ঢুকছেন, ঠিক তখনই সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু নৃত্যশিল্পী ভগবান কৃষ্ণ ও দেবী রাধার বেশে কনের চারপাশে পারফর্ম করছিলেন। অনন্য এই ভাবনাটি সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আবার কিছু লোকজন এটা দেখেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি। অনেকেই নানান প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, যদি HT বাংলার তরফে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
দেখুন সেই ভিডিও…
ভিডিয়োর নিচে নানান লোকজন নানান মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, 'এত নাটকের কী দরকার ছিল!' কারোর কথায়, ‘এটা আমাদের সাংস্কৃতিক নয়’, কারোর মন্তব্য, ‘এটা অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরঞ্জিত।’ কেউ কেউ আবার খারাপ রসিকতা করতেও ছাড়েননি। একজন লিখেছেন ‘আপ জিন্দা হো বেহান (আপনি কি বেঁচে আছেন?)’।
এক নেটিজেন এধরনের কাজে আপত্তি জানিয়ে লিখেছেন ‘এটা আধুনিক বিয়ের অনুষ্ঠানের সেটআপ, তবে কৃষ্ণ এবং রাধা চরিত্রের ব্যবহার করার প্রয়োজন ছিল না, এটা অসম্মানজনক।’ আরও একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘এটি আমাদের ঐতিহ্যের উপহাস’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘এই জাতীয় বিয়ের ট্রেন্ড আমাদের আচার অনুষ্ঠানের গুরুত্বকে হ্রাস করে।’ কারোর মন্তব্য, ‘ত্রিভুবনে এমন কেউও আছেন নাকি যে তাঁরা তাঁদের বিয়েতে রাধা-মাধবকেও নাচাতে পারে! আমি হলফ করে বলিতে পারি যে, যাঁরা সেখানে উপস্থিত আছেন তাঁরা কেউ হিন্দু নন, কিংবা মৃত, অথবা যাঁরা অনুষ্ঠান দেখছেন তাঁরা নাট্যকার বা পরিচালক।’
আরও একজন নেটিজেন অনুরোধ করেছেন, ‘ভাই, আপনাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমাদের দেবদেবীদের এভাবে বিয়েতে নাচাবেন না। এগুলি উপাসনার জন্য, সাধারণ অনুষ্ঠান বা বিনোদনের জন্য নয়। আপনি যদি হিন্দু হন, তাহলে লজ্জিত হওয়া উচিত’।