মহা বিপত্তিতে বলিউডের সুপারস্টার সলমন খান। কিছুদিন আগেই তাঁর বাড়ির উপর চলেছিল গুলি, আর এবার পানভেলের ফার্ম হাউজে গিয়ে বিয়ে করার দাবিতে ধরণায় বসে এক যুবতী।
আম্বানিদের দ্বিতীয় প্রি ওয়েডিং পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন সলমন খান। ক্রুজে চেপে বলিউডের অন্যান্য় তারকাদের সঙ্গে তিনিও গিয়েছেন ইতালি থেকে ফ্রান্সের দক্ষিণে। এদিকে ভারতে চলছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যায়ের থেকে ভাইজানের উপর আসা একের পর এক হুমকি, সদ্য চলা গুলির তদন্ত। আর এসবেরই মাঝে দিল্লির এক মহিলা, হঠাৎ হাজির পানভেলের এই ফার্ম হাউজে। দাবি, সলমনকে বিয়ে করবেনই তিনি!
আরও পড়ুন: গা ভরা গয়না, মেরুণ শাড়ি, খোঁপায় গোলাপ, মাথায় টোপর, বিয়ে করলেন ডালহৌসির পাইস হোটেলের নন্দিনী?
২৪ বছর বয়সী ওই মহিলার দাবি, তিনি সলমন খানের পাগল-ভক্ত। সলমনের সঙ্গে দেখা করার চাহিদাতে সেখানে হাজির হন। তখন অবশ্য সে স্থানে ছিলেন না ভাইজান। ওই মহিলা পাগলামো শুরু করতেই, গ্রামের লোক খবর দেয় থানায়। এমনকী, সেই মহিলার ভিডিয়ো রেকর্ডও করে রাখে প্রমাণ হিসেবে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মহিলা অনবরত বলে চলেছেন, তিনি সলমন খানকে বিয়ে করতে চান। এর কিছু সময় পরই পানভেলের তালুকা পুলিশ স্টেশনের অফিসাররা তাকে গ্রেফতার করে এবং পাঠায় সোশ্যাল অ্যান্ড ইভ্যাঞ্জেলিকাল অ্যাসোসিয়েশন ফর লাভ (SEAL)-এ।
আরও পড়ুন: গোলুমোলু খুদে এখন বলি-নায়িকা, একসময় ওজন ছিল ৯৫ কেজি, আজ জন্মদিন, বলুন তো কে?
শোনা যাচ্ছে যে, মানসিক চিকিৎসার জন্য কালাম্বলির এমজিএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তরুণী। মেয়েটির মা-কেও ডেকে পাঠানো হয় দিল্লি থেকে। পরিবার চিন্তিত, কারণ মেয়েটি দিল্লি থেকে একা এসেছে নবি মুম্বইতে, সলমন খানকে বিয়ে করার জন্য। ৮ দিন চিকিৎসা আর কাউন্সিলিংয়ের পর সেই মহিলা বাড়ি ফেরে।
আরও পড়ুন: ‘বামপন্থীদের এসব এড়িয়ে চলা ভালো…’! ভোট মিটতেই CPIM-এর নামে কী বলে বসলেন অনিন্দ্য
এদিকে নতুন তথ্য এসেছে সলমন খানের কেসে। ভাইজানের পানভেলের ফার্ম হাউজ-সহ বান্দ্রার বাড়ি, এমনকি যেখানে যেখানে উনি এখন শ্যুটিং করছেন সেসব জায়গা রেইকি করে এসেছিল বিষ্ণোই গ্যাং। পাকিস্তান থেকে আনানো অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনেতাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার পাঁচ-- ধনঞ্জয় সিং, তাপে সিং ওরফে অজয় কাশ্যপ, গৌরব ভাটিয়া, ওয়াসিম চিকনা, জাভেদ খান।
ঠিক হয়েছিল, সলমনকে হত্যা থেকে অন্যান্য বিষিয়ে তাঁরা ব্যবহার করবে নাবালকদের। সমস্ত কাজ হওয়ার পর মিলিত হওয়ার কথা ছিল কন্যাকুমারীতে। তারপর সেখান থেকে জলপথে শ্রীলঙ্কা পালানোর। আর এদের সাহায্য করত আনমোল বিষ্ণোই।