মহীনের ঘোড়াগুলির তাপসের সুরে গান গাইলেন ওপার বাংলার এ আই রাজু,আসছে 'শব্দহীন শব্দ'

দুই বাংলার দুই প্রজন্মের মেলবন্ধনে আসছে ‘শব্দহীন শব্দ’, ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে এ আই রাজুর নতুন সিঙ্গলস।

দুই প্রজন্মের মেলবন্ধন

ওপার বাংলার এই প্রজন্মের সংগীত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম এ আই রাজু। চলতি বছর প্রেম দিবসে  রাজুর লেখা ও সুর করা গান ‘দূরত্ব’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল দুই বাংলায়। লোকগান থেকে বাংলা রক কিংবা হিন্দি ছবির গানের কভার ভার্সন- প্রতিটি জঁরের গান নিজের মতো করে উপস্থাপন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন এ আই রাজু। এবার সত্তরের দশকের প্রতিষ্ঠিত প্রথম বাংলা ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাপস বাপি দাসের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন এ আই রাজু। তাঁর নতুন সিঙ্গলস ‘শব্দহীন শব্দ’ লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন বর্ষীয়ান সঙ্গীত শিল্পী তাপস বাপি দাস। 

'শব্দহীন শব্দ'-এর মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন বাপ্পা মজুমদার, এই গানের মিউজিক ভিডিয়ো পরিচালনা করেছে শমীক রায় চৌধুরী। অংশু বাচ ও পত্রালী হাজরা অভিনয় করেছেন এই মিউজিক ভিডিয়োতে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর, বড়োদিনের ঠিক আগে মুক্তি পাবে এই গান। 

এই যুগলবন্দির বিষয়ে মহীনের ঘোড়াগুলির তাপস দাস জানালেন, 'রাজুর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল নজরুল মঞ্চে রূপম ইসলামের একটি গানের অনুষ্ঠানে।… ও যেদিন বাড়িতে এল দেখলাম কতটা ভালো পিয়ানো বাজায়। ও যত ভালো গান গায়, তার চেয়েও বেশি আমার কাছে গুরুত্ব হল ওর শিল্পী সত্ত্বার মধ্যে এক ধরনের বিশুদ্ধতা আছে, একটা সরলতা আছে- যেটা আমার মনে হয় শিল্পী হওয়ার প্রাথমিক শর্ত'।

রাজুর অনুরোধেই প্রথমবার প্রেমের গান লিখেছেন বর্ষীয়ান শিল্পী।'আমি তো কোনওদিন প্রেমের গান লিখিনি, আমি কেন মহীনের ঘোড়াগুলির কেউই কোনওদিন প্রেমের গান লেখেনি, গায়নি। তবে বলতে পারেন এক কথায় জোর করেই আমাকে ও রাজি করে.. এক সপ্তাহ মতো আমার সময় লেগেছিল, তারপর ওকে লিখে, সুর করে পাঠিয়ে দিলাম', এক নাগাড়ে বলে চললেন সবার প্রিয় বাপিদা (তাপস দাস)। 

শব্দহীন শব্দ-এর পোস্টার 

রূপম ইসলামের সঙ্গেও একটি নতুন প্রোজেক্টে কাজ করছেন রাজু। সেই গানটি হবে সফট রক ঘরানার। সামাজিক ইস্যু ভিত্তিক গান হবে সেটি, যা মুক্তি পাবে আগামী বছরের শুরুতে। ইটিটাইমসকে রাজু জানিয়েছেন, ‘মিউজিক হল আমার আত্মা এবং সংগীত আমার কাছে কোনও পেশা নয়, এটা প্রার্থনা। আমার কাজের মধ্যে দিয়ে আমি স্বপ্নপূরণ করতে পারব, এটাই আমার একমাত্র আশা’।