বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর আক্রমণ চালান এক ব্যক্তি। ছয়বার আঘাত করা হয় তাঁকে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল সেই মুহূর্তে, কীভাবেই বা আহত হন অভিনেতা প্রকাশ্যে আনল পুলিশ।
কী জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে?
এদিন তদন্তকারী এক সিনিয়র অফিসারের তরফে জানানো হয়েছে সইফ আলি খানের বাড়ির এক পরিচারিকা এলিমা ফিলিপস ওরফে লিমা সেই মুহূর্তে বাড়িতে ছিলেন। তিনিই প্রথম অভিযুক্ত তথা আততায়ীকে দেখতে পান যখন সে ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তিনি তাকে থামানোর চেষ্টা করেন, এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় সেই ব্যক্তির। আর ঘটনাচক্রে তিনি হাতে আঘাত পান। তাঁর চিৎকার, চেঁচামেচি শুনেই নাকি তখন সেখানে দৌড়ে আসেন সইফ আলি খান।
এরপরই সইফ আলি খানের সঙ্গে সেই ব্যক্তির হাতাহাতি শুরু হয়। সেই ব্যক্তির হাতে ধারাল কিছু অস্ত্র ছিল। সেটা দিয়েই তিনি অভিনেতার উপর আক্রমণ চালান বলেই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
তবে সেই ব্যক্তিকে ধরা যায়নি সেই সময়। সে পালিয়ে যান কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে তাকে। একজন ব্যক্তিকেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে।
পুলিশে তরফে এদিন আরও জানানো হয় যে অভিযুক্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে উপরে ওঠেন। ইতিমধ্যেই বান্দ্রা থানায় সেই ব্যক্তি নামে FIR দায়ের করা হয়েছে। এবং সেই বিষয়কে খোঁজার জন্য পুলিশের ৬টা টিম কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।
অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সইফকে
রক্তাক্ত অভিনেতাকে মধ্যরাতে তড়িঘড়ি করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান অটোয় করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এই দুর্ঘটনার পর। জানা গিয়েছে ওই মধ্যরাতে কোনও গাড়ি পাননি ইব্রাহিম যেটায় করে তিনি তাঁর বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারেন। না ছিল ড্রাইভার, না ছিল গাড়ি প্রস্তুত। তাই তিনি বাধ্য হয়ে যাতে আর সময় অপচয় না হয় বা বাবার বেশি ক্ষতি না হয় তাই তিনি সইফকে অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে যান।