এই শহরেই শেষ বারের মতো গান গেয়েছেন তিনি। এই শহরেই তাঁর শেষ অনুষ্ঠান। তাঁর মৃত্যুর জন্যও এই শহরের অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাদের দিকে আঙুল উঠেছে। এই শহরেরই এখ শিল্পী বিতর্কের মুখে পড়েছেন তাঁর সমালোচনায় করায়।
এই শহর কলকাতা। আর এই শিল্পী কেকে। তাঁর বিদায়ের পরেও কলকাতা তাঁকে ভুলে যেতে চায় না। তাই কলকাতার বহু শিল্পী মিলে একসঙ্গে গাইলেন তাঁর গান। রবিবার নন্দন চত্বরে ফিরে এল সেই গান। কেকে’র ‘পল’।
১০০ গিটার, ১০০ কণ্ঠ, ১টি গান— এভাবেই কেকে’কে শ্রদ্ধা জানালেন এই শহরের শিল্পীরা। টিম বি গার্ডেন বাস্কার্স নামের এক সংগঠনের তরফে রবিবার আয়োজন করা হল এই অনুষ্ঠানের।
সংগঠনের অন্যতম সদস্য এবং এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শান্তনু ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘৩১ মে আমরা কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (কেকে) কে হারিয়েছি। তিনি এমন একজন শিল্পী যাঁর গাওয়া গান আমাদের শৈশবের একটা ভীষণ বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। আমরা এই কিংবদন্তীকে এভাবে চিরতরে হারিয়ে ফেলব, তা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি, কাজেই আমরা ভেবেছি আমরা যদি ওঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই মিলে গানের মাধ্যমে একটা ট্রিবিউট দিই, তাহলে কেমন হয়?’
সেই সূত্রেই আয়োজন হয় এই গানের অনুষ্ঠানের। তিনি লিখেছিলেন, ‘টিম বি গার্ডেন বাস্কার্স আহ্বান জানাই সমস্ত সঙ্গীতশিল্পী এবং কেকের অনুরাগীদের। তবে হ্যাঁ, অ্যাকোয়াস্টিক গিটার ছাড়া অন্য কোনও বাদ্যযন্ত্র থাকবেনা। একসঙ্গে গাওয়া হবে কেকে’রই কোনও একটা গান। গান গাওয়া বা গিটার বাজানোর জন্য প্রো হওয়ার দরকার নেই, মোটামুটি কোরাসে গলা মেলাতে আর গিটারে বেসিক কর্ডস্ স্ট্রাম করতে পারলেই হবে। আর হ্যাঁ, গান গাইতে গেলে গিটার বাজাতে হবে বা গিটার বাজাতে গেলে গান গাইতে হবে— এমন কোনও বাদ্ধকতা নেই, যে যেটা পারবেন, তিনি সেটা করবেন। কোনও অসুবিধা নেই তাতে।’
তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েই রবিবার নন্দন চত্বরে হাজির হন প্রচুর শিল্পী। সবাই মিলে গেয়ে ওঠেন ‘পল’।