বিরিয়ানি মানেই ব্যারাকপুরের দাদা বউদি। এমন কথা বলে তাকে নর্থ কলকাতার অনেক বাসিন্দাই। তবে বিখ্যাত এই বিরিয়ানির দোকান নিয়ে আজকাল একাধিক বিতর্কিত ভিডিয়ো সামনে আসে। কোথাও দেখা যায় মাংসের মাপ ছোট, কোথাও আবার দেখা যায় আলু সেদ্ধই হয়নি। তবে এবার যে ভিডিয়ো এল সামনে। তা চোখ তুলবে কপালে। দেখা গেল, রীতিমতো মাটি থেকে তোলা হচ্ছে বিরিয়ানি।
সহেলি মণ্ডল নামে একটি পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে দাদা বউদির হোটেলের ভিডিয়োটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে মেঝেতে পড়ে আছে বিরিয়ানির ভাত, আলু, মাংস। আর সেগুলো এক কর্মী তুলছেন বড় একটি পাত্রে। আশেপাশে জুতো পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দোকানের কর্মীরা। নিসন্দেহে রীতিমতো গা ঘিনঘিন করা একটি দৃশ্য।
আরও পড়ুন: ফুল ছাপ শার্ট বরের, ট্যাঙ্ক টপে সেক্সি বউ! হানিমুনের ছবি দিলেন আদৃত-কৌশাম্বি, কোথায় আছেন দুজন
যদিও এই ভিডিয়োতে কোথাও দেখা যায়নি, মাটিতে পড়ে যাওয়া এই বিরিয়ানি পরিবেশন করা হচ্ছে। তবে ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলে বোঝা যাবে, ভিডিয়ো দেখে আস্থা হারাচ্ছেন অনেকেই। তাঁদের আশঙ্কা, এটাই বোধহয় ভালো বিরিয়ানির সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করে দেওয়া হবে।
একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘মাটি থেকে যেভাবে তুলছে, তাতে আমি সিওর এটা আবার লোককে খাওয়াবে’। দ্বিতীয় জন লিখলেন, ‘মা গো! কী নোংরা। আমার গা গোলাচ্ছে।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘এমনভাবে এখানে লাইন দিয়ে মানুষ খায় যে, দেখে মনে হয় লঙ্গরখানায় ফ্রিতে খাবার দিচ্ছে’। চতুর্থজন লেখেন, ‘মানুষের অবনতি এই ভাবেই শুরু হয়।’
আরও পড়ুন: কথার কামাল হল না এবার! হারিয়ে এল নতুন টপার, নিম ফুলের মধু না ফুলকি, টিআরপিতে আগে কে
ধীরেন ও সন্ধ্যার হাত ধরে ব্যারাকপুরে চালু হয়েছিল দোকান ১৯৭৫ সালে। প্রথমে সাধারণ ভাতের হোটেল হিসেবেই চালু হয়। স্বামী-স্ত্রীকে ভালোবেসে দাদা বউদির হোটেল নাম দিয়েছিল এলাকার লোকই। এরপর তাঁরা শুরু করেন বিরিয়ানি বানানো। আপাতত বয়সের কারণে ব্যবসা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বীরেনবাবু। তাঁর দুই ছেলে সঞ্জীব আর রাজীব চালাচ্ছেন ব্যবসা। কদিন আগেই সন্ধ্যা-ধীরেন এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দাদাগিরি খেলতে। সেখানে তাঁরা জানেন, বর্তমানে বিরিয়ানি বিক্রি করে বছরে কয়েকশো কোটি রোজগার করেন।
সঞ্জীব জানান, ‘প্রতিদিন এক-একটা কাউন্টার থেকে ৪-৫ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। বছরে আয় হয় ১০০ কোটি মতো। রোজ ৮০০-১০০০ কিলো মাংস লাগে কিনতে।’